অর্থের অভাবে এ রাজ্যে কারও পড়া বন্ধ হবে না, আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
অর্থের অভাবে যেন এ রাজ্যের কোনও ছেলেমেয়ের পড়াশোনা বন্ধ না হয়। সে বিষয়ে প্রশাসন দায়িত্ব নেবে। মুখ্যমন্ত্রী এই আশ্বাস দিলেন।
কলকাতা : এ রাজ্যে অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য অর্থের অভাবে সমস্যায় পড়ে। তাদের যেন পড়াশোনায় কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, যদি কোনও ছেলেমেয়ের অর্থের অভাবে বই কেনা বা অন্য কোনও সমস্যা হয় পড়াশোনার ক্ষেত্রে সে যেন চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানায়।
জেলাশাসক বা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দিয়ে জানালে তাদের সাহায্যের জন্য যেন পাশে দাঁড়ানো হয়। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি আশ্বাসের সুরেই জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে এ রাজ্যে কারও পড়াশোনার সমস্যা হবে না।
সোমবার নবান্ন সভাঘর থেকে একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এ রাজ্যের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ নানা পরীক্ষার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবছর তা ছাত্রছাত্রীদের ডেকেই হয়ে থাকে। এবার করোনার কারণে পুরো অনুষ্ঠানই হয়েছে ভার্চুয়ালি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ছাত্রছাত্রীদের ভাল ফলাফলের জন্য শুভেচ্ছা জানান। জানান এরা আগামী দিনে পড়াশোনা করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মানের সঙ্গে কাজ করবে। বিদেশেও যেতে পারে পড়তে বা কাজ করতে। তবে তারা যেন বাংলাকে ভুলে না যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতি রাজ্যসরকার মানবে না। কেন্দ্রীয় নয়া শিক্ষা নীতির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। মেধাতালিকা নয়া শিক্ষানীতিতে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধেই এদিন মুখ খোলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান এ রাজ্যে মেধার অভাব নেই। এ রাজ্যের অনেক কৃতী সারা বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় কাজ করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান তাঁর সরকার বিআর আম্বেদকরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে। এছাড়া বিবেকানন্দের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। বিদ্যাসাগরের নামে রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তো বিশ্বভারতী রয়েছেই।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি চান নেতাজিকে সম্মান জানিয়ে এ রাজ্যে একটি জয় হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হোক। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকল কৃতী ছাত্রছাত্রীদের কিছু উপহার দেওয়ার কথাও বলেন।