Kolkata

মাস্ক না থাকলে প্যান্ডেলে ঢুকতে না দেওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

মুখে মাস্ক না থাকলে প্যান্ডেলে ঢুকতে না দেওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের কাছে মুখে মাস্ক পরার আবেদন জানান তিনি।

কলকাতা : মুখে মাস্ক থাকলে অনেকটা সুরক্ষিত মানুষজন। তাই তা মেনে চলা উচিত। অবশ্যই মুখে সকলের মাস্ক পরা উচিত। পুজোর মুখে এমনই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরইসঙ্গে পুজোর সময় প্যান্ডেলে ঠাকুর দর্শনে আসা কারও মুখে মাস্ক না থাকলে তাঁকে আলাদা করে দেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দর্শনার্থীকে অনুরোধ করা যে তিনি যেন মাস্ক পরে আসেন।


মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দেন মুখে মাস্ক না থাকা কাউকে প্যান্ডেলে ঢুকতে যেন না দেন পুজো উদ্যোক্তারা। যদি পুজো কমিটি দর্শনার্থীর হাতে মাস্ক তুলে দিতে পারেন তো তাঁকে সেটা পরে ঢুকতে হবে।

নচেৎ তাঁকে ফিরে যেতে হবে। পরে মাস্ক পরে তিনি আসতেই পারেন। পুজো উদ্যোক্তাদের স্যানিটাইজার-এর ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, পাড়ায় পাড়ায় পুজোর সময় মাইকে গান তো বাজেই। সেইসঙ্গে মাঝে মাঝে করোনা থেকে বাঁচতে কী কী করা উচিত সে সম্বন্ধে সতর্কতামূলক প্রচারে জোর দিক পুজো কমিটিগুলি।

করোনা বিধি মানা এবং তার ব্যবস্থাপনায় কোনও পুজো কমিটি কতটা জোর দিল তা দেখা হবে বিশ্ব বাংলার তরফে। সেইমত তারা অতিরিক্ত পয়েন্ট পাবে। তার ভিত্তিতে সেরা পুজোর পুরস্কার।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্টই জানান এ রাজ্যে পুজো হবে ঠিকই, কিন্তু সেইসঙ্গে মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। সেই বিধি মেনেই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখে দিতে হবে।

অনেক মহল থেকেই বলা হচ্ছে এবার পুজোর পর হুহু করে বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণ। কেরালার ওনাম উৎসবের পর সেখানে যেভাবে করোনা বেড়েছে সে উদাহরণও তুলে ধরা হচ্ছে। সতর্ক করা হচ্ছে মানুষজনকে।

যদিও পুজোর সময় কেমন ভিড় হতে পারে, মানুষের মধ্যে পুজো দেখার উন্মাদনা কতটা কাজ করতে পারে তার একটা ট্রেলার পুজোর বাজারের হিড়িক দেখলেই পরিস্কার।

মানুষ কিন্তু অনেকটা বেপরোয়া মানসিকতা নিয়েই পুজোর বাজারে মেতে উঠেছেন। এই ভিড়টা যে পুজোর দিনগুলোতেও বেপরোয়াই থাকবে তেমনটাই মনে করছেন অনেকে।

এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণীর পাশাপাশি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে করোনা পরীক্ষার খরচ কমানো হচ্ছে। টেস্টের খরচ কমে হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের খরচও কমানোর চেষ্টা করছে সরকার।

এ নিয়ে সরকার বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলবে বলেও জানিয়েছেন আলাপনবাবু। বাঙুর হাসপাতালে বেড বাড়ানোর কথাও এদিন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলোতেও সর্বক্ষণ কন্ট্রোল রুম খোলা রাখার হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button