৩ দিন ধরে পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
দুর্গাপুজোর আর হাতে গোনা দিন বাকি। তাই এখন থেকেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি ভার্চুয়াল ওপেনিং করবেন এবার।
কলকাতা : দুর্গাপুজো এসে গেল। যদিও করোনার জন্য এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব ঘিরে সেই উন্মাদনা নেই। পুজোর কেনাকাটায় ভিড় হচ্ছে বটে। তবু কোথাও যেন ম্লান হয়েছে জৌলুস।
অনেক পাড়াতেই প্যান্ডেল পুরো তৈরিই হয়নি। কোনওভাবে পুজোটা করা। ধারাবাহিক পুজোর পরম্পরাকে ধরে রাখা। এটাই উদ্দেশ্য। অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তাই এবার জোর দিচ্ছেন কেবলমাত্র সব নিময় রীতি মেনে পুজোটায়। উৎসবে নয়।
প্রতি বছরই পুজোর আগেই শুরু হয়ে যায় পুজো উদ্বোধন। অনেক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এবারও তাই হবে? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ছিল। সেই সব প্রশ্নের উত্তর সোমবার নবান্ন থেকে পরিস্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভিড় এড়াতে তিনি নিজে না গিয়ে বা কোনও ভিআইপি-কে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন না করিয়ে স্থানীয়ভাবে পুজোর উদ্বোধন করে নেওয়ার অনুরোধ করেন পুজো উদ্যোক্তাদের।
পরে অবশ্য সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে তিনি বলেন তিনি অনেক পুজোর ওপেনিং করেন। এবার সেগুলি আলাদা আলাদা করে গিয়ে না করে ভার্চুয়াল ওপেনিং করা হোক। সবটাই তিনি নবান্ন থেকে করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এদিন সাজিয়ে দেন কীভাবে হবে ওপেনিং? কবে কোথায় হবে ওপেনিং। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামী ১৫ অক্টোবর তিনি উত্তর কলকাতার পুজোগুলির উদ্বোধন একসঙ্গে করবেন।
জুম-এর মাধ্যমে এই ওপেনিং হবে। পুরোটাই ভার্চুয়াল। প্যান্ডেলের সামনে থাকবেন প্রদীপ হাতে মেয়েরা। তিনি থাকবেন নবান্নে। তাঁর হাতেও থাকবে প্রদীপ। তিনি ওখান থেকেই ওপেনিং করবেন।
উত্তরের পুজো ১৫ তারিখ ওপেন করার পরদিন ১৬ তারিখ তিনি বেহালা ও যাদবপুরের পুজোর ভার্চুয়াল ওপেনিং ঠিক এভাবেই করবেন। ১৭ অক্টোবর হবে দক্ষিণ কলকাতার পুজোর উদ্বোধন। একদম একইভাবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সময়ও ঠিক করে দিয়েছে। বিকেল ৫টায় হবে ওপেনিং। সন্ধের মুখে বলে তিনি ওই সময়টা বেছে নিচ্ছেন বলে জানান। সেইসঙ্গে তিনি জানান যে পুজো কমিটিগুলি চাইছে যে তিনি তাদের পুজোর ওপেনিং করুন তারা মেল করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আবেদন করতে পারে।