স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাজ্যের সব মানুষের জন্য যুগান্তকারী ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব আনল রাজ্যসরকার। মুখ্যমন্ত্রী যা ঘোষণা করলেন তা এ দেশে প্রথম। একে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টার স্ট্রোক হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা : রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দাকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এদিনের ঘোষণাকে মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টার স্ট্রোক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যা কার্যত কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত-কে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। কারণ আয়ুষ্মান ভারতও এখনও পুরো ভারতের সকল নাগরিককে তাদের আওতাভুক্ত করে উঠতে পারেনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে প্রত্যেক পরিবার পিছু। এই কার্ড হবে পরিবারের কোনও মহিলার নামে। বাড়ির গৃহিণীর নামই হয়তো থাকবে।
মহিলাদের ক্ষমতায়নকে আরও সুদৃঢ় করতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁর নামে ওই কার্ডের আওতায় থাকবে গোটা পরিবার। এই কার্ড থাকলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন সকলে।
সরকারি কোনও স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পে থাকলেও এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আগের স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প থেকে ওই সরকারি কর্মীকে সরে আসতে হবে।
দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কথা কদিন আগেই বাঁকুড়ায় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্লকে ব্লকে এই দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের আওতায় যে ক্যাম্প হচ্ছে সেখান থেকেই স্থানীয় মানুষজন এই কার্ড পাবেন। অন্যান্য জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন। পরে কার্ড সংগ্রহের জন্য পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এই প্রকল্প ১ ডিসেম্বর ২০২০ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এমন প্রকল্প যে দেশে এই প্রথম সেকথাও জানান তিনি। গোটা রাজ্যে সব মানুষ সরকারের স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পাবেন এমনটা অন্য কোনও রাজ্যে এখনও চালু হয়নি।
এই কার্ড দেখিয়ে সরকারি হাসপাতাল তো বটেই এমনকি অনেক বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন সকলে। স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড কেমন দেখতে হবে তাও এদিন সকলের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।