State

২০২১-এ নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আসন্ন বিধানসভায় তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেল। নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা : নন্দীগ্রামে তিনি একজন ভাল মানুষকেই দাঁড় করাবেন। যিনি কাজ করবেন। এটা বলার পর একটু থেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎই সকলকে অবাক করে বলেন তিনি নিজে দাঁড়ালে কেমন হয়!

গ্রামীণ জায়গা। তাঁর অনেক দিনের ভালবাসার জায়গা। তিনি যদি নিজেই এখান থেকে প্রার্থী হন। এটা বলার পরই জনসভা জুড়ে সকলেই প্রায় উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। আনন্দে হৈহৈ করতে থাকেন সকলে।


মমতা জানান, তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়ালেও তাঁর পক্ষে ভোটের সময় বেশি আসা সম্ভব হবেনা। কারণ তাঁকে ২৯৪টি আসনেই লড়তে হবে।

সকলকে প্রশ্ন করেন ভোটের সময় তাঁর জয় হবে তো? তিনি আশ্বাস দিয়েই বলেন, ভোটের সময় কাজটা নন্দীগ্রামবাসী করে দিন। ভোটে জয়ের পর নন্দীগ্রামের জন্য যা করবার তা তিনি সব করে দেবেন।


এই ঘোষণা করে দেওয়ার পর মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে মমতা বলেন, তাঁর নামটা যেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হিসাবে থাকে। সুব্রতবাবু এরপর উঠে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন এটা চেয়েছেন তখন সেটাই হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণত বিধানসভায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। এদিন নন্দীগ্রাম সহ ভবানীপুর থেকেও দাঁড়াতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন। না হলে সেখানে ভাল প্রার্থী তিনি দেবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিনের জনসভায় অধিকারী পরিবারের কেউ ছিলেন না। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই পরিচিত নন্দীগ্রাম। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে কার্যত এদিন মাস্টারস্ট্রোকই দিলেন না, সেইসঙ্গে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিলেন।

এদিন জনসভা থেকে নাম না করে অধিকারী পরিবারকে কটাক্ষও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায় এখানে এমন কয়েকজন আছেন যাঁদের প্রচুর টাকা। আর সেই টাকা রক্ষার জন্যই তাঁরা দলবদল করেছেন। বিজেপি তাঁদের সেই আশ্বাস দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন রাজনীতিতে ৩ ধরনের মানুষ হন। লোভী, ভোগী ও ত্যাগী। এঁদের মধ্যে একমাত্র ত্যাগীরা দলকে ভালবেসে থেকে যান। মায়ের কোল ছেড়ে যান না।

মমতা কটাক্ষের সুরেই দল ছেড়ে যাওয়া নেতা কর্মীদের লোভী ও ভোগী হিসাবে চিহ্নিত করেন। তারপরই কার্যত তিনিই নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১-এ প্রার্থী বলে জানিয়ে দেন মমতা।

নন্দীগ্রামের জনসভায় এদিন ছিল উপচে পড়া ভিড়। মমতা নিজেই এই ভিড়কে ব্রিগেডের ভিড়ের সঙ্গে তুলনা করেন। এদিন সমবেত সকলকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। ভয় দেখিয়ে ভোটের আগে সমীক্ষা রিপোর্ট বদলে দিচ্ছে। তৃণমূল পেতে পারে এমন আসন সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে। এসব সমীক্ষা বিশ্বাস না করার অনুরোধ করেন মমতা।

Show Full Article
Back to top button