২ ঘণ্টা বুথেই আটকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রায় ২ ঘণ্টা বুথের মধ্যেই আটকে রইলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে বার করে আনা হয়।
কলকাতা : বৃহস্পতিবার রেয়াপাড়ায় তাঁর অস্থায়ী আবাস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার হন দুপুরে। ভোটপর্ব তখন প্রায় ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত। বেরিয়ে তিনি যান বয়ালে। সকাল থেকে যে এলাকা থেকে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে সেখানে তাদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছেনা।
যেখান থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছিল সেই বয়াল ৭ নম্বর বুথে হাজির হন মমতা। বুথে তিনি প্রবেশ করতেই বাইরে মুখোমুখি হয়ে পড়েন বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকেরা। মাঝে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ব়্যাফ ও পুলিশ ২ তরফকে আলাদা করে রাখে। যাতে তাঁরা সম্মুখসমরে জড়িয়ে না পড়েন। বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকেন।
বাইরে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় মুখ্যমন্ত্রী বুথের ভিতরেই একটি করিডরে হুইল চেয়ারে বসে অপেক্ষা করেন। তিনি দাবি করেন ওই বুথে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট পড়ে গেছে। তিনি এও দাবি করেন যে ওই বুথ নিয়ে ৬৩টি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জানানো হলেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই নিয়ে তিনি আদালতে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যপালকেও পুরো ঘটনার কথা ফোনে জানান।
মুখ্যমন্ত্রী একজন প্রার্থী হয়ে বুথে কেন এতক্ষণ থাকবেন তা নিয়ে পাল্টা সোচ্চার হন বাইরে থাকা বিজেপি সমর্থকেরা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে তৃণমূল সমর্থকেরাও অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের ২ পক্ষকেই সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে ব়্যাফ। এমন করে সময় পার হতে থাকে।
এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসে দেখা করেন নির্বাচন কমিশনের ২ আধিকারিক। হাজির হন নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্বে থাকা আইপিএস আধিকারিক নগেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি মমতার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কিছুটা সরাতে সমর্থ হন। আসে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ। পরে তারা ঘিরে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বুথ থেকে নির্বিঘ্নে বাইরে বার করে আনে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাইরে আসার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দিকে। অন্যদিকে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বাইরে থেকে লোক আনার অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি যারা বাইরে থেকে এসেছে তারা বাংলাও বলতে পারেনা। তাদের এনে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে। প্রায় ২ ঘণ্টা বয়ালে এই অবস্থা চলার পর বিকেলের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।