গণ্ডগোল করলে সিআরপিএফ জওয়ানদের ঘিরে রাখুন, নিদান মমতার
কোচবিহারে শনিবার নির্বাচন। তার প্রচারে গিয়ে এদিন চাঞ্চল্যকর নিদান দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।
কলকাতা : রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট আগামী শনিবার। তার আগে তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে বুধবার কোচবিহারের জনসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিদান রীতিমত শোরগোল ফেলে দিল রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস নেতারা মমতার কড়া সমালোচনা করেছেন।
মমতা এদিন অভিযোগ করেন সিআরপিএফ জওয়ানরা বেশ কিছু জায়গায় ভোট দিতে যেতে দিচ্ছেন না। তাঁর আরও দাবি, বিশেষ করে মহিলাদের ভোট দিতে মানা করছে সিআরপিএফ। এই অবস্থায় নিজের ভোট সুরক্ষিত করতে আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে রাখার নিদান দিলেন মমতা।
মমতা বলেন, যদি কোথাও কেউ দেখেন যে সিআরপিএফ ভোটে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে তাহলে যেন মহিলারা ছোট ছোট দল করে জওয়ানদের ঘিরে রাখেন। পরামর্শের সুরে তিনি বলেন, জওয়ানদের ঘিরে রাখবে মহিলাদের ছোট দল। বাকিরা তখন ভোট দিতে যাবেন। আবার তাঁরা এসে জওয়ানদের ঘিরে রাখবেন। তখন অন্যরা ভোট দিতে যাবেন। সকলে জওয়ানদের যেন ঘিরে রেখে দেওয়ার চেষ্টা না করেন। তাহলে ঘিরে রাখতেই সময় কেটে যাবে। ভোট আর দিতে পারবেননা।
তৃণমূল নেত্রী এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কিছু পুলিশ ভোট এলে বিজেপি হয়ে যায়। আরামবাগে গত মঙ্গলবার ভোটের দিন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-এর ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওখানে সুজাতা মণ্ডলের মাথায় বাঁশ দিয়ে মারা হয়। তাঁর দেহরক্ষীর মাথা ফাটানো হয়। এখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। ওসি-র দিকে তাঁদের নজর থাকবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘিরে রাখার নিদানের বিরুদ্ধে এদিন সোচ্চার হন বিরোধী নেতারা। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নিজেদের মত করে এর বিরোধিতা করেছে।
ভোটকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে বিভিন্ন অশান্তির খবর আসছেই। এখানে আগামী শনিবার ভোট। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকেলেই শেষে প্রচার পর্ব।