আরও ২ দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
একটু কষ্ট হলেও সমুদ্র ও নদীর পারের নিচু এলাকার মানুষজনকে আরও ২ দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোটালের জন্য জল ফের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
যশ আছড়ে পড়ার পর তা সমুদ্র ছেড়ে ৪ ঘণ্টায় তার ল্যান্ডফল বা স্থলভাগে পুরোপুরি প্রবেশ করা শেষ করেছে। আগামী আরও ৯ ঘণ্টা তা শক্তিশালী থাকবে। তারপর ক্রমশ তা শক্তি হারাবে। এমনই জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
এদিকে ওড়িশা দিয়ে প্রবেশ করলেও এ রাজ্যের ২ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতি শোচনীয় হয়েছে।
যত না ঝড় বা বৃষ্টি সমস্যা করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সমস্যার কারণ হয়েছে ভরা কোটালে উত্তাল সমুদ্র ও নদীর জল শহর ও গ্রামে প্রবেশ করে আসা।
জলের প্রবল তোড়ে শতাধিক নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তার জেরে হুহু করে জল ঢুকছে বিভিন্ন গ্রামে। অনেক গ্রামের মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে পাড়ি দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দুপুরে ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেন এখনও সব পরিষ্কার নয়। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০ হাজারের ওপর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ কোটির কাছে মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।
সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে অনেক চাষের জমি নষ্ট করে দিয়েছে। চাষ জমিতে নোনা জল জমে রয়েছে। সেনা, পুলিশ ও এনডিআরএফ একসঙ্গে কাজ করছে। দিঘা, মন্দারমণির মত জায়গায় সেনা নেমেছে। উদ্ধারকাজও শুরু হয়েছে।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় যেখানে জল ঢুকেছে সেখানকার মানুষজন যেন আগামী ২ দিনও সতর্ক থাকেন। কারণ এখনই দুর্যোগ থেমেছে বলে ঘরে ফেরার চেষ্টা করলে হয়তো ভুল হবে।
কারণ কোটাল আরও ২ দিন আসবে। জল বাড়বে। ফলে নতুন করে জলমগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামী ২ দিন গুরুত্বপূর্ণ।
একটু কষ্ট করে হলেও মানুষ যেন সতর্ক থাকেন। এমনকি যেসব এলাকা জলমগ্ন হয়েছে সেখানে কোটালের সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কারও ক্ষতি না হয়।
নদী বাঁধ মেরামতিতে মুখ্যমন্ত্রী একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিয়েছেন। নদী বাঁধ মেরামতি সহ এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রুখতে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানোরও পরামর্শ দেন তিনি।
একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকেও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তা জানতে আরও ৭২ ঘণ্টা লাগবে।