সন্তানের উচ্চশিক্ষার খরচ নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তা দূর করলেন মুখ্যমন্ত্রী
সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উচ্চশিক্ষার খরচ অভিভাবকদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। কোথা থাকে আসবে এত টাকা? এবার সেই চিন্তা দূর করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে যোগ্য মানুষ করে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের কম খরচ করতে হয়না। যত সে উচ্চশিক্ষার পথে এগোতে থাকে ততই খরচ বাড়তে থাকে।
অনেক পরিবারের পক্ষে সেই খরচ বহন করা সম্ভব হয়না। অনেকে বাড়ি ঘর বেচে বা বন্ধক দিয়েও সন্তানকে মানুষ করার জন্য অর্থের বন্দোবস্ত করতে বাধ্য হন। মা-বাবার সেই চিন্তা অনেকটা এবার দূর করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ জুন থেকে রাজ্যে চালু হবে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। এই কার্ডের আওতায় ছাত্রছাত্রীরা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে। যা তারা রোজগার করা শুরুর পর ১৫ বছর পাবে শোধ করার জন্য।
কিন্তু ঋণ পেতে তো গ্যারান্টার লাগবে! মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন কাউকে গ্যারান্টার হতে হবেনা। গ্যারান্টার হবে রাজ্যসরকার নিজে।
দশম শ্রেণি থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাগত শিক্ষা, বিদেশে শিক্ষা, ডক্টরাল, যে কোনও শিক্ষার ক্ষেত্রেই এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ঋণ পাবে ছাত্রছাত্রীরা। অনলাইনেও এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে।
শর্ত একটাই। ওই ছাত্র বা ছাত্রীকে ১০ বছর বা তার বেশি সময় এ রাজ্যে আছে এমন প্রমাণ করতে হবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই কার্ড চালু নিয়ে আশ্বাস ছিল। জিতে সরকার গঠন করার পর মাস দুয়েকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখলেন। তাঁর এই ঘোষণার ফলে বহু অভিভাবকের শান্তিতে রাতের ঘুম নিশ্চিত হল।