দক্ষিণেশ্বরে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে বৃহস্পতিবার হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরে এদিন দক্ষিণেশ্বরে চালু হল একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। এদিন একটি বড় ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সবে ফিরেছেন দিল্লি থেকে। তারপরই সোজা দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর কাছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বরে এদিন উদ্বোধন হল একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের। সেই আলো ও শব্দের মেলবন্ধনে উঠে আসবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস, রানি রাসমণির কীর্তি, শ্রী রামকৃষ্ণের কথা।
অবশ্যই এটি পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দির সম্বন্ধে জানতে এখন আর কেবল বই ভরসা থাকছে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত এর আগে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক বানিয়েছে রাজ্যসরকার। এদিন চালু হল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। এদিন আরও একটি বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণেশ্বরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এখানে তৈরি হবে একটি হেলিপ্যাড বলেও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া এখানে যাতে অতিথিদের থাকার জন্য একটি ঝাঁ চকচকে অতিথিশালা তৈরি করা যায় সেজন্যও অর্থ দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ফলে দক্ষিণেশ্বরকে ঢেলে সাজাতে কেবল স্কাইওয়াকেই যে রাজ্যসরকার থেমে থাকতে চায়না তা এদিন পরিস্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণেশ্বরে এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বা বিদেশ থেকে পর্যটকেরা হাজির হন। কলকাতায় এলে দক্ষিণেশ্বরে একবার যাওয়ার চেষ্টা থাকে পর্যটকদের।
তাই এই মন্দির ও মন্দির চত্বরকে পর্যটন ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র করে গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্যসরকার। হেলিপ্যাড হলে আরও মানুষের আগমন ঘটবে এই মন্দিরে। হেলিকপ্টারেও মানুষ তখন এই মন্দিরে এসে হাজির হতে পারবেন।