কালীঘাটে পুজো দিয়ে সংহতি মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর, নিউজ চ্যানেল না দেখার পরামর্শ
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সংহতি মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে এই মিছিলে যোগ দেন তিনি।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারি যে কলকাতার রাস্তায় তিনি পা মেলাবেন সংহতি মিছিলে তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। আরতি করেন। তারপর সেখান থেকে হাজির হন হাজরা মোড়ে।
সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য নেতারা তো ছিলেনই, সেই সঙ্গে ছিলেন নানা ধর্মের মানুষজন। মিছিল হাজরা মোড় থেকে এগোয়। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে পথে গুরুদ্বারে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। যান গির্জায়।
পার্ক সার্কাসে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে রাম মন্দিরের পাল্টা হিসাবে কোনও মিছিল তিনি করছেননা। পরদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। তার আগের দিন সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই মিছিলের আয়োজন করেছেন।
এদিন মিছিলে আরও একটি বিষয় নজর কাড়ল। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসঙ্গে পা মিলিয়ে সংহতি যাত্রায় শামিল হতে দেখা গেল।
যা কার্যত লোকসভা ভোটের আগে একটা পরিস্কার বার্তা দেওয়া হল যে মমতা ও অভিষেকে কোনও জটিলতা নেই। যা নিয়ে এক জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল তাতে জল ঢালার চেষ্টা হয় এদিন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এনআরসি প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এদিন বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। জানান, ইন্ডিয়া নামটাই তাঁর দেওয়া। অথচ সেখানে গেলে তিনি দেখেন সিপিএম সেখানে দাপট দেখাচ্ছে।
এটা যে তিনি মেনে নিতে পারছেন না তা পরিস্কার করে দেন মমতা। মমতা এদিন বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, যারা ধর্মের কথা বলে তারাই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙার চেষ্টা করছে।
এদিন খবরের চ্যানেলগুলোর প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দোষ দেন না। চ্যানেলের মালিকরাই ব্যবসা করার জন্য এমন কিছু দেখাচ্ছেন যা লজ্জার। রাজ্যবাসীকে নিউজ চ্যানেলগুলি না দেখার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, দেখলে টেনশন হবে।