১০ দিনের মধ্যেই সবজি বাজারে আগুন নেভার আশা দেখছেন রাজ্যবাসী
কঠোর অবস্থান নিয়ে সবজি কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠা সাধারণ মানুষের মনে আশার আলো জাগালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাম কমা নিয়ে আশাবাদী তাঁরা।
সবজির বাজারে যেভাবে দাম বাড়ছিল তাতে বাংলার সাধারণ মানুষের পক্ষে আলু, পেঁয়াজ, পটল, বেগুন কেনাও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল। বেগুন যে ১৫০-২০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হবে তা ভাবতে পারেননি সাধারণ মানুষ।
দামে আগুন আলুর ক্ষেত্রেও। জ্যোতি আলু এখন ৩৫ টাকা কেজি। দাম লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজেরও। টমেটো ১০০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। এভাবে এক এক বলার অপেক্ষা। কারণ প্রায় প্রতিটি সবজির দামই আকাশছোঁয়া।
কার্যত বাজারে গিয়ে খালি ব্যাগের তলায় পড়ে থাকা সামান্য সবজি কিনেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছিল মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালিকে। সবজির আগুন দামের ছেঁকায় কার্যত সকলেরই নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়েছিল।
বাজেট দূরে থাক, অতিরিক্ত অর্থ পকেটে নিয়ে গিয়েও সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছিল না। অতিপ্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, টমেটোই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় অবশেষে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কড়া অবস্থানেই বুধবার থেকে দাম বাড়লেও ঘুমিয়ে থাকা টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে অভিযান শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ১০ দিনের মধ্যে দাম কমানোর জন্য নির্দেশ দেওয়ায় তৎপর টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। বুধবারই অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির অভিযোগে বিভিন্ন প্রান্তে জরিমানার মুখে পড়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বাজারের সবজি বিক্রেতারা টাস্ক ফোর্সকে জানাচ্ছেন, তাঁদের হোলসেল বাজার থেকেই এমন চড়া দামে সবজি কিনতে হচ্ছে যে তার ওপর লাভ রেখে সাধারণ বাজারে তাঁরা বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তাঁদের ন্যূনতম মুনাফা রেখে দাম কমিয়ে সবজি বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন টাস্ক ফোর্স সদস্যরা। বুধবার অভিযান শুরুর পর কিছু সবজির দাম কমেছেও। তবে তা বিচ্ছিন্নভাবে।
সার্বিকভাবে দাম যাতে রাজ্য জুড়ে নিয়ন্ত্রণে আসে সেজন্য ১০ দিনের সময় টাস্ক ফোর্সের হাতে বাঁধা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক তৎপরতা দেখে সাধারণ মানুষের আশা ১০ দিনের মধ্যে তাঁরা অনেকটাই হাসিমুখে সবজি কেনার অবস্থায় পৌঁছতে পারবেন।