
তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তবে যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্টকে শক্তিশালী দেখতে চান তিনি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেকথা আগেই জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্কার করে দিয়েছিলেন তাঁর অবস্থান। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি তৃতীয় ফ্রন্টের সঙ্গে তিনি আছেন। ২০১৯-এ দিল্লিতে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তার নির্ণায়ক শক্তিও যে তৃণমূল হবে তাও স্পষ্ট করে দিন তিনি। সেই কিং মেকার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কী উদ্যোগ শুরু করলেন তিনি? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে রাজনীতির অন্দরমহলে। ৩ দিনের সফরে মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছে সেই জল্পনাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এই সফরে তিনি দেখা করতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় জোটের সম্ভাবনাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার ৩ দিনের সফরে দিল্লি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের সেন্ট্রাল হলে দলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেন। সেখানেই এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। এদিকে এই সফরকালে রাজ্যের ঋণ মকুব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেঠলির সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।