সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন বলিউডের ডাকসাইটে অভিনেত্রী, পেলেন নতুন পরিচয়ও
বলিউডের অভিনেত্রীদের সারিতে তাঁর নাম চিরদিন থেকে যাবে। একসময় প্রথমসারির নায়িকা ছিলেন তিনি। তিনিই এবার সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন। পেলেন নতুন পরিচয়।
সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে যাবতীয় রীতি মেনে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন। পরনে গেরুয়া বসন, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরিহিতা অবস্থায় যাবতীয় রীতি মেনে সন্ন্যাস গ্রহণের সময় তিনি কেঁদেও ফেলেন।
রীতি অনুযায়ী সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য নিজের পিণ্ড দান করতে হয়। ৫২ বছর বয়সে নিজের পিণ্ড দানও করেন তিনি। পূর্বাশ্রমের যাবতীয় সবকিছু ত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণের পর পেলেন নতুন পরিচয়ও।
কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে কিন্নর আখরা-তে তিনি এই সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠীর আশির্বাদ গ্রহণ করে সন্ন্যাস গ্রহণের পর তাঁর নতুন পরিচয় হয় শ্রী মাই মমতা নন্দ গিরি।
তিনি মহামণ্ডলেশ্বরের স্থান পেয়েছেন ওই আখড়ায়। এখন প্রশ্ন হল কোন বলিউড অভিনেত্রী এভাবে নিজের সব ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণের পথে হাঁটলেন?
শাহরুখ খান ও সলমন খানকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালের সুপারহিট সিনেমা ‘করণ অর্জুন’-এ। সেই সিনেমায় ২ নায়কের ২ নায়িকা ছিলেন কাজল এবং মমতা কুলকার্নি।
মমতা কুলকার্নি সে সময় বলিউডের প্রথমসারির নায়িকা। কিন্তু ২০০২ সালে তিনি একটি সিনেমায় অভিনয় করেন ‘কভি তুম, কভি হাম’। এরপরই তিনি আচমকা বলিউড থেকে হারিয়ে যান।
এক বলি তারকার এভাবে আচমকা হারিয়ে যাওয়া তখন অনেককেই অবাক করেছিল। কিন্তু মমতা কুলকার্নির বলিউড ত্যাগ কোনও আচমকা ঘটনা ছিলনা।
১৯৯৬ সাল থেকেই তিনি আধ্যাত্মিক চিন্তার মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছিলেন। মায়ের চাপেই যে তিনি বলিউডে পা রেখেছিলেন তাও স্বীকার করেন মমতা। বলিউড ত্যাগ করার পর তিনি ১২ বছর দুবাইতে একটি ২ কামরার ফ্ল্যাটে একাই তপস্যা করে কাটিয়েছেন বলে নিজেই সংবাদ সংস্থা আইএএনএস–কে জানিয়েছিলেন।
ক্রমে আধ্যাত্মিক চিন্তা ও জীবনে প্রবেশ করছিলেন মমতা। এবার পাকাপাকিভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করে সেই পথেই জীবন উৎসর্গ করলেন। একসময়ের বলিউডের ডাকসাইটে নায়িকা মমতা কুলকার্নি এখন হয়ে গেলেন শ্রী মাই মমতা নন্দ গিরি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা