দেশের শেষ গ্রাম দেখতে এখন ছুটছেন পর্যটকেরা
দেশের শেষ গ্রাম বলে মনে করা হয় তাকে। তারপরই চিন শুরু। এই গ্রামের গুরুত্ব এখন বেড়ে গিয়েছে। অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এটি।
দেশের শেষ গ্রাম। এখানেই শেষ ভারতের ভূখণ্ড। তারপরই শুরু চিন। সামনে দেখাও যায় চিনা ভূখণ্ড। হিমালয়ের কোলে এক অপরূপ পাহাড় আর সবুজে ঘেরা এই গ্রামে এখন পর্যটকদের নিত্য আনাগোনা।
সকলেই ছুটছেন দেশের শেষ গ্রাম দেখতে। সেখানে কিছুটা সময় কাটাতে। হিমালয়ের অপার সৌন্দর্য তো আছেই। সেইসঙ্গে এই গ্রাম ও তার আশপাশে দেখারও রয়েছে অনেক কিছু। ফলে তা পর্যটকদের টানছে।
দেশের শেষ গ্রাম বলে মনে করা হয় মানাকে। মানা গ্রাম কেবল ভারতের শেষ গ্রাম হিসাবেই বিখ্যাত নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পুরাণের কাহিনি।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ভারত চিন সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামের পরই শুরু তিব্বত। তাই এই গ্রামকে বলা হয় ভারতের শেষ গ্রাম।
যাঁরা বদ্রীনাথ মন্দির দর্শনে যান তাঁদের অনেকেই দর্শন সেরে পাড়ি দেন মানার দিকে। বদ্রীনাথ থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মানা গ্রাম।
মানায় দেখার মত অনেক কিছু রয়েছে। রয়েছে বেদব্যাস গুহা, রয়েছে গণেশ গুহা, রয়েছে সরস্বতী মন্দির, রয়েছে বসুধারা ঝরনা।
প্রাচীনকালে এই মানা হয়েই তিব্বতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল বলে মনে করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মানা হিমালয়ের অপার সৌন্দর্যে অপরূপা। ফলে এখন পর্যটকদের এখানে আনাগোনা বেড়েছে।
অনেকেই গরমের দিনে হিমালয়ের কোলে মানার মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে পাড়ি দেন বদ্রীনাথের পথ ধরে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় এখানকার স্থানীয় মানুষের রোজগারও বেড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা