এই ঝরনার জল পাপীদের স্পর্শ করেনা, কেবল পবিত্ররা এর স্পর্শ পান
এ দেশেই রয়েছে এমন এক তীর্থক্ষেত্রে যার অদূরে এক ঝরনার জল পাপীদের স্পর্শ করেনা। এটাই এখানকার লোকশ্রুতি। বহু মানুষ হাজির হন এই ঝরনা দেখতে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে নানা লোকশ্রুতি, বিশ্বাস, কাহিনি। এসব কাহিনি অনেক ক্ষেত্রে পুরাণ বা মহাকাব্য নির্ভর।
হিমালয়ের কোলে দেশের এক রাজ্য উত্তরাখণ্ডকে বলা হয় দেবভূমি। এখানে সব কিছুর মধ্যেই নাকি লুকিয়ে আছে ইতিহাস, বিশেষত্ব আর রহস্য।
এই উত্তরাখণ্ডের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র বদ্রীনাথ। চার ধামের এক ধাম। এই বদ্রীনাথ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে একটি ঝরনা।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ঝরনা এক অন্যতম পর্যটনস্থলও বটে। যেখানে পর্যটকদের ঢল নামে।
পাহাড়ের ৪০০ মিটার ওপর থেকে এই ঝরনার জল ঝরে পড়ছে। যা দেখে মনে হয় যেন মুক্তো ঝরে পড়ছে। কিছুক্ষণ হিমালয়ের এই ঝরনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয় যেন স্বর্গে আছেন কেউ।
এমনই তার অবর্ণনীয় রূপচ্ছটা। এই ঝরনা বসুধারা ঝরনা নামেই খ্যাত। ভারতের শেষ গ্রাম মানা থেকে যেতে হয় বসুধারা ঝরনা দেখতে।
মানা গ্রাম থেকে ছোট ঘোড়ায় চেপে বসুধারা যাওয়ার উপায় রয়েছে। তবে এখানে বেড়াতে আসা মানুষজন অনেকেই এই পথ ট্রেক করতে পছন্দ করেন।
মানা থেকে বসুধারা মোটামুটি ৫ কিলোমিটার পথ। যা পাহাড়ি দুর্গম পাথুরে পথে হেঁটে যেতে প্রায় ২ ঘণ্টার ওপর লেগে যায়।
কথিত আছে যে এই বসুধারা ঝরনার জল পাপীদের স্পর্শ করেনা। কেবল পবিত্র মনের মানুষই এই জলের স্পর্শ পান। পুরাণে যে অষ্টবসুর কথা বলা হয়, তাঁরা সকলেই এখানে তপস্যা করেছিলেন। এজন্যই এই ঝরনার নাম বসুধারা।
বলা হয় এই ঝরনার জলে ওষধিগুণ রয়েছে। তাই এখানে যাঁরাই আসেন তাঁরা এই ঝরনার জলে স্নান করেন। বলা হয় জলের ওষধিগুণে শরীর আরও সুস্থ হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা
Ami ja kono kharap montobbo ba kharab kaj thaka dura rakhar chasta korbo.
Mobile problem kichu bugta parchi na ai muhurte.