এখানেই গাণ্ডীব ফেলে যান অর্জুন, এখন মানুষের ঢল
স্বর্গ যাত্রার সময় এই স্থানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কনিষ্ঠ পাণ্ডব সহদেব। ভাইয়ের মৃত্যুর পর এখানেই তাঁর প্রিয় গাণ্ডীব রেখে যান অর্জুন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা স্বর্গ যাত্রা করেন। পঞ্চপাণ্ডব এবং দ্রৌপদী স্বর্গের উদ্দেশে রওনা দেন উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের কাছে মানা গ্রাম বা বসুধারা ঝরনার ধার দিয়ে। ওই পথে তাঁরা স্বর্গ যাত্রার সময় বসুধারা ঝরনার কাছে মৃত্যু হয় কনিষ্ঠ পাণ্ডব সহদেবের।
এদিকে স্বর্গ যাত্রা শুরুর সময় অর্জুনের কাছে তাঁর প্রিয় ধনুক গাণ্ডীব ছিল। সেটি সঙ্গে করেই যাত্রা শুরু করেন তিনি। কিন্তু বসুধারা ঝরনার কাছেই সহদেবের মৃত্যুর পর তিনি সেই গাণ্ডীব রেখে দেন। তারপর খালি হাতেই স্বর্গের পথে আগুয়ান হন।
এখানে এলে লোকমুখে এ কাহিনি ঘুরে বেড়ায়। ফলে মাহাত্ম্যের দিক থেকে বদ্রীনাথ ধাম, মানা গ্রাম ও বসুধারা ঝরনার গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে পুরাণ ও মহাকাব্যের কাহিনি।
মানা গ্রাম থেকে বসুধারা ঝরনা প্রায় ৫ কিলোমিটার। যাত্রা পথে পড়ে সরস্বতী নদীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া মন্দির। বসুধারা পর্যন্ত পথ পায়ে হেঁটে দুর্গম, পাথুরে।
তবে অনেকেই এই পথ ট্রেক করে হাজির হন বসুধারা ঝরনার তলায়। ২ ঘণ্টার এই পথে নেই খাবার দোকান, নেই চিকিৎসার বন্দোবস্ত।
বসুধারা পৌঁছে অবশ্য চোখ যায় জুড়িয়ে। স্বর্গীয় সৌন্দর্যে মোড়া এই ঝরনার জলও ওষধিগুণে ভরা। তাই অনেকেই এখানে পৌঁছে ঝরনার জলে স্নান করেন।
বসুধারার ওষধিগুণ সম্পন্ন জলে ভিজলে নাকি শরীরের অনেক রোগ পর্যন্ত সেরে যায়। এমনই বলে থাকেন স্থানীয়রা। তবে এমনও কথিত আছে যে বসুধারার জল কখনও পাপীদের স্পর্শ করেনা। তা কেবল পবিত্র আত্মাদেরই স্পর্শ দেয়। এখানে কিন্তু পর্যটকরা এলে স্নান করেই থাকেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা