World

পপ কনসার্টে বিস্ফোরণ, রক্তাক্ত ম্যানচেস্টার

স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা। ব্রিটেনের শহর ম্যানচেস্টারের একটি হলে সবে শেষ হয়েছে মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রঁন্দ-এর কনসার্ট। সকলে হল ছেড়ে বার হওয়া সবে শুরু করেছেন। যাঁদের মধ্যে বহু কিশোর-কিশোরী ছিলেন। ঠিক সেই সময়েই গেটের কাছে এক তীব্র বিস্ফোরণে মুহুর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রক্তাক্ত অবস্থায় অনেকেই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন অনেকে। মুহুর্তের মধ্যে একটা সুন্দর রাত আতঙ্কের প্রহরে পরিণত হয়। দ্রুত আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ।


এই ঘটনায় এখনও প‌র্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে বেশ কয়েকজন কিশোর-কিশোরী। ৬০ জন আহত। তাঁদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ম্যানচেস্টার পুলিশের তরফে প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই ঘটনায় এক ব্যক্তি জড়িত। সম্ভবত সে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এটা কোনও জঙ্গি সংগঠনের কাজ, নাকি ওই ব্যক্তি কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এটা করেছে তা এখনও পরিস্কার নয়।

এদিকে ঘটনার পর দ্রুত রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষজনকে উদ্ধারকরা শুরু হয়। এঁদের অনেককেই আতঙ্কে কাঁদতে দেখা যায়। অনেকেরই জামাকাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল। রক্ত ঝরছিল দেহের বিভিন্ন অংশ দিয়ে।


পপ তারকা আরিয়ানা গ্রঁন্দ এই ঘটনায় ট্যুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন এক নারকীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

ঘটনার পর ম্যানচেস্টারে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ম্যানচেস্টার থেকে কোনও ট্রেন ছাড়েনি, আসেওনি। ট্যাক্সি চালকরা অনেককে বিনা পয়সায় তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে দেন। কনসার্ট যেখানে হচ্ছিল তার আশপাশে বসবাসকারীরা কনসার্টে এসেও বাড়ি ফিরতে না পারা অনেককে তাঁদের বাড়িতে থাকার জায়গা দেন। গোটা শহরটা একে অপরের পাশে দাঁড়ায়।

এদিকে ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এর সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। এমন ঘটনা ইউরোপ জুড়ে আরও হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে তারা। ম্যানচেস্টারের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোনও জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button