ভালবাসার হাতকড়ার চাবি হারালেন প্রেমিকা, পুলিশ ডাকলেন প্রেমিক
ভালবাসার নানা রং। ভালবাসা প্রকাশে এখন কিছু সরঞ্জামও ব্যবহার হয়ে থাকে। এমনই এক হাতকড়া প্রেমিকের হাতে পরিয়ে তার চাবি হারিয়ে ফেলেন প্রেমিকা।
ভোর তখন সাড়ে ৪টে। একটা ফোন আসে পুলিশ স্টেশনে। ওপার থেকে কার্যত আর্ত কণ্ঠের অনুনয়। পুরুষ কণ্ঠটি জানায় পুলিশ যেন দয়া করে এসে তাঁর হাতের বন্ধন খুলে দেয়।
কারণ যে হাতকড়াটি তাঁর প্রেমিকা ভালবাসার মুহুর্তে তাঁর হাতে পরিয়েছিলেন, সোহাগপর্ব শেষে সেই হাতকড়ার চাবিটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। ঘরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁর প্রেমিকা এখন সেই চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না। আর তিনি হাতকড়া পরেই বসে আছেন।
নারী-পুরুষের দৈহিক সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। প্রেমপর্বে প্রেমিকপ্রেমিকার মধ্যেও দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয়। ভালবাসার ধরণ এখন বদলাচ্ছে। দৈহিক ভালবাসাকে উত্তুঙ্গে নিয়ে যেতে এখন ব্যবহার হচ্ছে নানা উপকরণ। যার মধ্যে হাতকড়া একটি।
কখনও নারীর হাতে সেই হাতকড়া পরিয়ে মিলনের পারদ চরমে উঠছে। কখনও পুরুষের ২টি হাত থাকছে হাতকড়ায় বন্দি। সেই অবস্থায় চলছে মিলনপর্ব।
এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। রাতে মিলনপর্বের আগে ওই যুবকের হাতে ভালবেসে হাতকড়া পরিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমিকা। তারপর তাঁদের মধ্যে মিলনের প্রহর শেষ হয়।
এদিকে বাইরে তখন ভোর হয় হয়। এই অবস্থায় মিলনপর্ব শেষে পুরুষটি তাঁর হাতের হাতকড়া খুলে দিতে বলেছিলেন প্রেমিকাকে। কিন্তু প্রেমিকা সেই চাবি আর খুঁজে পাননি। আঁতিপাঁতি করে খুঁজে না পাওয়ার পর আতঙ্কে হাত খোলাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রেমিক।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারে। পুলিশ ফোন পেয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হয়। তারপর তাঁর হাতকড়া খুলে দেয়। ওই ব্যক্তি অবশ্য হাতকড়া খোলার আগে পুলিশকে জানান যে তিনি দমকল ডাকতে পারতেন। কিন্তু দমকল এলে তারা সময় নষ্ট না করে হাতকড়াটি কেটে ফেলত।
অনেক দাম দিয়ে হাতকড়াটি কেনা। তাই তা নষ্ট হোক সেটা তিনি চাননি। বহুমূল্য সেই হাতকড়া যাতে যত্ন করে খোলা হয় তাই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশও অবশ্য হাতকড়া খুলতে সেটির কোনও ক্ষতি করে ফেলেছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।