World

শো করার সময় স্টেজেই হাস্যকৌতুক শিল্পীর মর্মান্তিক মৃত্যু

হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট। সেখানে তখন প্রায় ৮০ জন মত দর্শক। কম নয়। তাঁদের সামনেই হাস্যকৌতুক করতে স্টেজে ওঠেন মঞ্জুনাথ নাইডু। ১৫ মিনিটের সময় তাঁর। তিনিই অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী। হাস্যকৌতুক শুরু করেন মঞ্জুনাথ। মাঝে বসে পড়েন স্টেজেই রাখা একটি চেয়ারে। জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকেন। তারপর পড়ে যান স্টেজের ওপর। দর্শকরা সকলেই নিশ্চিত এটা তাঁর হাস্যকৌতুকেরই অঙ্গ। একটা অভিনয়। কিন্তু ৩ মিনিটেও তিনি না ওঠায় সকলের সন্দেহ হয়। অন্য কয়েকজন শিল্পী ও হোটেলের কর্মচারিরা ছুটে ঢুকে পড়েন স্টেজে। দেখেন মঞ্জুনাথ নিথর হয়ে পড়ে আছেন। তাঁরা সেখানেই সিপিআর দিতে শুরু করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছিল না। দ্রুত তাঁকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকেরা জানান সিপিআর দিতেও কিঞ্চিত দেরি হয়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ জুলাই দুবাইয়ের সিগনেচার হোটেলে। স্টেজেই মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথের। মঞ্জুনাথ আদপে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তাঁর হাস্যকৌতুক প্রসিদ্ধ। ফলে সেখানে প্রচুর শো পেতেন তিনি। গত ৫ বছর ধরে সেখানেই শো করে বেড়াতেন মঞ্জুনাথ। পরিচিত মুখ। তাঁর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর সেখানকার মানুষকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে একজন সফল শিল্পীর এমন স্টেজেই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সেখানকার সংবাদমাধ্যমে।


মঞ্জুনাথের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর আগে থেকেই কী শরীর খারাপ ছিল? সেই অবস্থাতেই ওদিন শো করতে আসেন মঞ্জুনাথ? এসব প্রশ্ন উঠছে। কারণ ওই অনুষ্ঠানের যিনি আয়োজন করেন সেই সানা টোপিওয়ালা জানাচ্ছেন তিনি সামনের সারিতেই বসে ছিলেন। শো শুরুর পর থেকেই মনে হচ্ছিল মঞ্জুনাথের শরীর ঠিক নেই। যদিও এমন কিছু হবে তা তিনি নিজেও হয়তো কল্পনা করতে পারেননি। স্টেজে তিনি পড়ে যাওয়ার পরই সিপিআর দিতে পারলে হয়তো মঞ্জুনাথ বেঁচে যেতে পারতেন বলে মনে করছেন অনেকে। সোমবার মঞ্জুনাথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button