টানা একটা বছর প্যাংক্রিয়াটিক ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। গোয়া থেকে মুম্বই, দিল্লি থেকে নিউইয়র্ক। বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। বারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। তবু হার মানেননি। এরমধ্যে যখনই একটু সুস্থ বোধ করেছেন তখনই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই লড়াই থামল রবিবার। রবিবার বিকেলে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ধরা পড়েছিল তাঁর ক্যানসার। তখনই ছিল অ্যাডভান্সড স্টেজ। তারপর দীর্ঘ এক বছর তাঁর সঙ্গে ক্যানসারের লড়াই চলেছে।
আইআইটি-র ছাত্র মনোহর পারিক্করের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পারিক্কর বিজেপি নেতা হিসাবে জীবন কাটালেও দেশের সব রাজনৈতিক দলের তরফেই তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। রাজনীতি করেছেন রাজনীতির মতন করে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতি মনোহর পারিক্কর করেননি।
দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন মনোহর পারিক্কর ছিলেন আদ্যন্ত একজন সৎ ও বিচক্ষণ মানুষ। একজন সৎ রাজনীতিবিদকে হারাল দেশ। পারিক্করের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। তারপর ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালে মোদী সরকার আসার পর তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ২০১৭ সালে গোয়ায় বিজেপি সরকার গঠনের সময় তাঁকে দিল্লি থেকে ফিরিয়ে আনা হয় রাজ্যে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। আমৃত্যু সেই দায়িত্বেই রইলেন। তাঁর পত্নিবিয়োগ আগেই হয়েছে। ২ ছেলে, ২ পুত্রবধূ ও ১ নাতিকে রেখে ৬৩ বছর বয়সে চলে গেলেন গোয়ার ছেলে এই বিচক্ষণ মানুষটি।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)