মাওবাদী নিকেশে নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে সিআরপিএফ ও পুলিশ। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে মাওবাদীদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে হানা দিচ্ছে তারা। শুক্রবার রাতভোরে ছত্তিসগড়ের ধমতারির বারাই এলাকার সালেঘাট জঙ্গলে টহল দিচ্ছিল সিআরপিএফ। ভোর তখন ৪টে। আলো ভাল করে ফোটেনি। গভীর জঙ্গলের মধ্যে চলছিল টহল। গত বুধবার থেকে এখানে এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করেছে সিআরপিএফ।
জঙ্গলে টহল চলাকালীন আচমকাই সিআরপিএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। ২ পক্ষে শুরু হয় গুলির লড়াই। মাওবাদীদের গুলিতে ২ সিআরপিএফ জওয়ান হেড কনস্টেবল হরিশ চন্দ্র পাল ও কনস্টেবল সুধীর কুমার আহত হন। তাঁদের ২ জনকেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ভোপালের বাসিন্দা ৪৪ বছরের হরিশ চন্দ্র পালের। সুধীর কুমার আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
এই গুলির লড়াই সকাল পর্যন্ত চলে। সিআরপিএফ জানিয়েছে, এই গুলির লড়াইয়ে মাওবাদীদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনও সঠিক করে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ২ দিন আগেই ছত্তিসগড়ের কাঙ্কর জেলায় মাওবাদী হানায় ৪ বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। তারপর এদিন ফের ১ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হল। তবে মাওবাদীদের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ছত্তিসগড়ের জঙ্গলগুলোতে মাওবাদী দমনে অভিযান ক্রমশ নিবিড় হচ্ছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)