খবর এসেছিল মাওবাদীরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর অবস্থা সামাল দিতে সেখানে যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি পুলিশের সি-৬০ কুইক রেসপন্স টিমের একটি দল। কিন্তু পৌঁছনোর আগেই তাদের গাড়ি রাস্তায় মাওবাদীদের করা আইইডি বিস্ফোরণের শিকার হয়। সেই বিস্ফোরণে পুরো গাড়িটি পুড়ে যায়। মৃত্যু হয় ১৫ জন পুলিশকর্মী ও চালকের। ঘটনার জেরে ওই রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে জানানো হয় মাওবাদীদের জবাব দিতে প্রস্তুত তারা। মাওবাদী দমনে বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে পুলিশ।
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে মাওবাদী হানা বেড়েছে। যেখানে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে সেখানে সেখানেই তারা হামলা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পাল্টা মাওবাদী দমনেও চলছে অপারেশন। সেখানেও পরপর সাফল্য এসেছে। তবে গড়চিরোলিতে এদিন যা ঘটল, এখানে এতবড় নাশকতা গত ২ বছরে করতে পারেনি মাওবাদীরা। তবে কী গোয়েন্দা ব্যর্থতা? গড়চিরোলির বুধবারের ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা মানতে নারাজ মহারাষ্ট্র পুলিশ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)