শুক্রবার ভোরবেলা। ঝাড়খণ্ডের তোরি রেলওয়ে সাইডিং-এ তখন বিশেষ লোকজনের দেখা নেই। বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিদ্রামগ্ন। সেই সময় প্রায় ১৫ জনের একটি মাওবাদী দল এসে হাজির হয় সেখানে। শুরু হয় তাণ্ডব। শ্রমিকদের মারধর করা হয়। গুলিও চালায় মাওবাদীরা। তবে গুলি কোনও শ্রমিকের গায়ে লাগেনি। সম্ভবত ভয় দেখাতেই গুলি চালায় মাওবাদীরা। তারপর রেলওয়ে সাইডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ১৬টি মালবাহী গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সাতসকালে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়িগুলি।
পুলিশ জানাচ্ছে এই ১৫ জন মাওবাদী সকলেই ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি পরিষদের সদস্য। বেশ কিছুদিন ধরেই এই রেলওয়ে সাইডিং থেকে তোলা আদায়ের চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু সেই তোলা না পাওয়ায় এদিন বড় ধরনের আক্রমণের রাস্তা বেছে নিল। পুড়িয়ে দিল ১৬টি গাড়ি। তবে যে মাওবাদীরা হামলা চালায় তাদের একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তোরি সাইডিং থেকে মূলত কয়লা সরবরাহ করা করা। এখান থেকে কয়লা ভরে মালবাহী গাড়ি বিভিন্ন দিকে পাড়ি দেয়। এখানে বহু টাকার লেনদেন রয়েছে বলে মাওবাদীরা এই রেলওয়ে সাইডিংকেই তোলা আদায়ের জায়গা হিসাবে বেছে নেয় বলে মনে করছে পুলিশ। এদিনের ঘটনার পর আপাতত এখান থেকে কয়লা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে তোরি রেলওয়ে সাইডিংয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা