দেশের জন্য হাসতে হাসতে জীবন উৎসর্গ করেন তাঁরা। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কর্তব্যে থাকেন অবিচল। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মন আর লৌহ কঠিন শরীরে যাঁরা শত্রুপক্ষকে প্রতিরোধ করে দেশকে সুরক্ষিত রাখেন তাঁরাই সেনা। পৃথিবীর সর্বত্র দেশ ও দশের রক্ষাকারীদের এই ভূমিকার হেরফের ঘটতে খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম আছে। প্রতিরক্ষাবাহিনীর চিরাচরিত আকার অবয়বের ধারণাটি একেবারে আমূল পাল্টে দিলেন মারিয়া ডোমার্ক। এককালে দাপটের সঙ্গে ইজরায়েলের হয়ে যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করতেন অসমসাহসী এই মহিলা সেনানী। ইজরায়েলের নিয়ম অনুসারে ১৮ বছরে পা দিতেই বাকি মেয়েদের মতই সেনাবাহিনীতে ভর্তি হন মারিয়া। রীতিমত কড়া অনুশাসন, কঠিন অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।
মারিয়াকে দেখলে অবশ্য সে কথা বিশ্বাস নাও হতে পারে। সেনানীর প্রশিক্ষণ শেষ হতেই ফ্যাশন দুনিয়ায় নাম লিখিয়েছেন মারিয়া। চুটিয়ে র্যাম্প শো, ফোটোশ্যুট করছেন। কেউ বলে না দিলে বিশ্বাস করা শক্ত যে মারিয়া নাকি এককালে হাতে অস্ত্র নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে কসরত করেছেন। গড়পড়তা ইজরায়েলি সেনানী সুলভ সুঠাম তাগড়াই চেহারা উধাও! ডায়েট আর ব্যায়াম করে নিজেকে ছিপছিপে লাস্যময়ী মডেলের চেহারায় নিয়ে এসেছেন মারিয়া। ২২ বছরের তরুণী এখন সোশ্যাল সাইটে তাঁর উষ্ণ আবেদনের ‘ভাইরাস’ ছড়াচ্ছেন। ৮ লাখেরও বেশি অনুরাগী নিত্য তাঁকে ‘ফলো’ করেন। খোলামেলা পোশাকে মারিয়াকে কখনও সমুদ্রের ধারে, কখনও বালুকাভূমিতে, কখনও বা নিজের ঘরে একান্তে জ্বলে উঠতে দেখা যায়। অল্প বয়সে ইতিমধ্যে বিশ্বের ‘হটেস্ট সেনানী’-র তকমাও ছিনিয়ে নিয়েছেন মারিয়া।
(ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম)