দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে আছে ফেসবুকের গুণগ্রাহী। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ার এই ঘরে একেবারেই নিরাপদ নন বাসিন্দারা। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের তোলা এই অভিযোগ বুধবার কার্যত স্বীকার করে নিলেন ফেসবুকের জনক। আগামী দিনে এই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। আরও জোরাল নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে দেওয়া হবে ফেসবুককে। ফাঁস করা হবে ডেটা হ্যাকারদের পরিচয়। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন জুকারবার্গ। যদি ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতে ফেসবুক অক্ষম হয়, তাহলে ফেসবুককে সরিয়ে নেওয়ার কথাও আবেগতাড়িত ভাষায় জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছিল যে ফেসবুক থেকে পাচার হচ্ছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য। আর সেই কাজ করেছে ‘কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’ নামে একটি সংস্থা। রাজনীতিবিদদের সুবিধা করে দিতে ওই সংস্থা প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্যবহার করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ব্রেক্সিট-এ কাজ করেছিল এই ব্রিটিশ সংস্থা। শুধু বিদেশের মাটিতে নয়, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াতেও বেআইনিভাবে প্রভাব ফেলছে জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মাধ্যম। এইসমস্ত অভিযোগে গত বুধবার দিনভর তোলপাড় হয়েছিল দেশের রাজনীতি।
বিজেপির অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে ভোট লুঠ করতে কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে। পাল্টা বিজেপির দিকে একই অভিযোগের আঙুল তোলে কংগ্রেসও। যার জেরে ফেসবুকের জনককে বুধবার হুঁশিয়ার করে দেয় ভারত সরকার। বিশ্বাসভঙ্গের জন্য তদন্তের ভিত্তিতে মার্ক জুকারবার্গের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মুখ খোলেন ফেসবুক অধিকর্তা। ফেসবুকে তাঁর পেজে সমস্ত অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেন মার্ক। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামীদিনে ফেসবুককে সুরক্ষিত করার ঢালাও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ।