SciTech

মঙ্গলের ধুলোতেই রয়েছে প্রাণ রক্ষার ম্যাজিক, অনবদ্য আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

মঙ্গলগ্রহ এতই ঠান্ডা যে সেখানে কোনও প্রাণের অস্তিত্ব অসম্ভব। কিন্তু তাকে গরম করতে পারলে সেটা সম্ভব। মঙ্গলকে গরম করার এই অভিনব উপায় আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলগ্রহে একদিন মানুষ থাকবে। এই লক্ষ্যকে পাখির চোখ করে ছুটছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু মঙ্গলগ্রহ অস্বাভাবিক ঠান্ডা। সেখানে উষ্ণতা বাঁধা থাকেনা, উবে যায়। তাই মঙ্গলে উষ্ণতাকে ধরে রাখতে এর আগে একাধিক উপায় ভেবেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

এমনকি পৃথিবী থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে সেখানে গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরি করে মঙ্গলের উত্তাপ বাড়ানোর বিষয়েও ভাবনাচিন্তা হয়েছিল। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা যে উপায় আবিষ্কার করলেন তাতে এত সমস্যা না করেই মঙ্গলকে গরম করা সম্ভব।


যাতে সেখানে প্রাণের স্পন্দন দেখতে পাওয়া যায়। গাছ জন্মাতে পারে। আবার গাছ জন্মালে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমে বাড়বে। তাতে একসময় মঙ্গলগ্রহ শ্বাস যোগ্য হয়ে উঠবে মানুষের জন্য। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পৃথিবীর ক্ষেত্রেও এভাবেই একসময় অক্সিজেন বেড়েছিল বাতাসে।

বিজ্ঞানীরা যে উপায় বাতলেছেন, তাতে মঙ্গলের ধুলোকেই মঙ্গলকে গরম করতে কাজে লাগানো হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন মঙ্গলের ধুলো নিয়ে তার কিছুটা রূপান্তর ঘটানো হবে। এমন একটা আকার দেওয়া হবে যাতে সূর্যরশ্মি তার ওপর পড়ে চারধারে আরও ভাল করে ছড়িয়ে পড়তে পারে।


এবার এই ধূলিকণা মঙ্গলে ৩০ লিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে ছাড়া হবে। যা ১ মাস টানা চালাতে পারলে মঙ্গলগ্রহকে প্রয়োজনীয় উত্তাপে নিয়ে যাওয়া যাবে।

যদিও এই ধূলিকণা স্প্রে করা বন্ধ করলে ক্রমে তা আবার পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।

তবে মঙ্গলের মাটিতে থাকা অনন্ত ধূলিকণাকে কাজে লাগিয়ে মঙ্গলকে গরম করার উপায় সামনে এনে কার্যত এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button