মাত্র কদিন আগেই এই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হয়েছেন মানুষ। এক জীবনে এমন মহাজাগতিক বিস্ময় প্রত্যক্ষ করার সুযোগ একবারই আসে। সেই বিরলতম অভিজ্ঞতার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক মহাজাগতিক বিস্ময় প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন বিশ্ববাসী। যা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। পৃথিবীর খুব কাছে আসতে চলেছে মঙ্গলগ্রহ। এদিন রাতে মাত্র ৫৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকবে মঙ্গল। সূর্য, পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্রহ এদিন একই সরলরেখায় অবস্থায় করবে। নিজ নিজ কক্ষপথে পৃথিবী ও মঙ্গল একে অপরের খুব কাছে আসে এই সময়ে। প্রতি ১৫ থেকে ১৭ বছর অন্তর এমন ঘটনা ঘটে। এরপর ফের পৃথিবী ও মঙ্গলের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করবে।
মঙ্গলবার পৃথিবী ও মঙ্গল একে অপরের খুব কাছে অবস্থান করায় এদিন রাতের আকাশে মঙ্গলগ্রহকে আরও অনেক বেশি বড় ও উজ্জ্বল লাগবে। তবে এখানে বলে রাখা ভাল ভারত থেকে কিন্তু সবচেয়ে ভালভাবে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে না। কারণ বিজ্ঞানীদের হিসাব বলছে মঙ্গলকে খুব কাছ থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার একটা বড় অংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার মত জায়গা থেকে এই দৃশ্য সবচেয়ে ভালভাবে প্রত্যক্ষ করা যাবে। তবে কী ভারতীয়রা কিছুই দেখতে পাবেন না? না ঠিক তা নয়। ভারতীয়রাও দেখতে পাবেন। তবে অতটা পরিস্কার নয়। গোটা ভারত থেকেই রাতের আকাশে মঙ্গলকে ঝলমলে দেখাবে। শর্ত একটাই যদি না আকাশে মেঘ থাকে। অন্তত কলকাতার আকাশের যা পরিস্থিতি, তাতে কলকাতাবাসীর কপালে কতটা এই দৃশ্য শিকেয় ছিঁড়বে তা বলা কঠিন।
কদিন আগেই জীবনে একবারই দেখার সুযোগ হওয়া দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণও দেখার সুযোগ কার্যত হাতছাড়া হয়েছে। আকাশ ভরা মেঘ কেড়ে নিয়েছে সেই বিরল দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার সুবর্ণ সুযোগ। এখন দেখার মঙ্গলকে আদৌ কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয় কিনা।
এদিন মঙ্গল পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে। তবে এর চেয়েও বেশি কাছে এসেছিল ২০০৩ সালে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন সেদিন যত কাছে মঙ্গল এসেছিল তা তার আগে ৬০ হাজার বছরে আসেনি। অতটা কাছে কিন্তু এদিন আসছে না। সেদিন মঙ্গল পৃথিবীর থেকে মাত্র ৫৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ছিল।