মঙ্গলগ্রহেও একসময় বিশাল হ্রদ ছিল, খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
এতদিন লড়াই চলছে যে মঙ্গলগ্রহে জীবন ছিল কিনা জানার। সেই ক্ষেত্রে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল এই সম্ভাবনাকে এই খোঁজ আরও একধাপ এগিয়ে দিল।
নাসার পাঠানো কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গল গ্রহের বুকে হেঁটে বেড়িয়ে সেখানকার যেসব তথ্য পাঠিয়েছে তারমধ্যে অন্যতম লাল গ্রহের অতিকায় ক্রেটার, বিশাল বিশাল পাথুরে অববাহিকাগুলির ধরণ, চরিত্র, বৈশিষ্ট্য। সেগুলি বিজ্ঞানীরা হাতে পাওয়ার পর তাঁদের গবেষণাও তরতর করে এগিয়েছে।
টেক্সাসের এ এন্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘদিন এসব তথ্য নিয়ে গবেষণার পর দাবি করেছেন যে মঙ্গলগ্রহে একসময়ে পৃথিবীর মতই নোনা জলের হ্রদ ছিল। সেসব সল্টলেককে কখনও শুকনো আবহাওয়া গ্রাস করত। কখনও সেগুলি থাকত ভেজা।
লাল গ্রহে রয়েছে অতিকায় এক ক্রেটার। যা গেল ক্রেটার নামে পরিচিত। ক্রেটার বলতে খোঁদল। যা মাইলের পর মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই গেল ক্রেটারেই ছিল বিশাল একটি হ্রদ।
এখন থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন বছর আগে লাল গ্রহে আঘাত করে একটি উল্কা। সেই আঘাতের পর থেকেই ওই হ্রদটি মৃত হতে থাকে। সেখানে তৈরি হয় ছোট ছোট নোনা জলের পুকুর ও হ্রদ। তারপর তা সেগুলিও একসময়ে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়।
গবেষকরা দাবি করছেন, মঙ্গলের এই গেল ক্রেটারে জলের অস্তিত্ব ছিল। আর জলের অস্তিত্ব মানেই সেখানে জীবনের সন্ধান মিলবে। জীবনের উৎসই জল।
এতদিন লড়াই চলছে যে মঙ্গলগ্রহে জীবন ছিল কিনা জানার। সেই ক্ষেত্রে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল এই সম্ভাবনাকে এই খোঁজ আরও একধাপ এগিয়ে দিল।
গবেষকরা দাবি করছেন মঙ্গলগ্রহে জল ছিল। তা খুব ধীরে ধীরে শুকিয়েছে। যত মঙ্গলগ্রহ তা চৌম্বকীয় ক্ষমতা হারিয়েছে ততই তার আবহাওয়া পরিমণ্ডল নষ্ট হয়েছে। তা থেকেই ক্রমশ শেষ হয়েছে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা