কতক্ষণ আর মঙ্গলের মাটিতে খুঁজে বেড়ানো যায়, এতদিনে বার হল উপায়
মঙ্গলের জমি নেহাত কম নয়। সেখানে কাঁহাতক হাতড়ে বেড়ানো যায়! এভাবে কি সত্যিই সম্ভব? প্রশ্নটা ছিল। এতদিনে তার সুরাহাও হল। বার হল উপায়।
লাল গ্রহ সম্বন্ধে নিত্যনতুন খোঁজ এখন সামনে আসছে। নানা তথ্য উঠে আসছে মঙ্গলের মাটিতে ঘোরা রোভার অথবা মঙ্গলের চারপাশে চক্কর দেওয়া অরবিটারের হাত ধরে। কিন্তু তাতেও কি সত্যিই মঙ্গলের মাটির সবটা পরীক্ষা করা সম্ভব? সম্ভব যে নয় তা বিজ্ঞানীরাও টের পাচ্ছিলেন।
এদিকে এটা জানা জরুরি যে মঙ্গলে প্রাণ ছিল কিনা? থাকলে কোথায় ছিল? কোথায় লুকিয়ে আছে বরফ? বরফের সন্ধান ঠিক কোথায় খুঁজলে পাওয়া যাবে? এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার নতুন দিশা দেখালেন গবেষকেরা।
আগামী দিনে আর মঙ্গলের মাটিতে হাতড়ে বেড়াতে হবেনা বলেই আশ্বস্ত করেছেন গবেষকেরা। একদল অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট চিলির আতাকামা মরুভূমি ও আলতিপ্লানোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত সালার ডে পাজোনালেস নামে জায়গায় একটি বিশেষ গবেষণা চালিয়েছেন।
প্রসঙ্গত যেখানে তাঁরা এই গবেষণা চালিয়েছেন সেই জায়গাকে বিশ্বের অন্যতম রুক্ষ ও শুকনো স্থান হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। এটা করা হয়েছে মঙ্গলের মাটির রুক্ষতা ও শুষ্কতার কথা মাথায় রেখে।
এখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা যন্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সেখানে কোথায় শুকনো মাটি বা পাথরে জীবনের সন্ধান লুকিয়ে আছে তা খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই এআই আগামী দিনে মঙ্গলের মাটিতে কাজে লাগানো হবে। যাতে সেখানে অহেতুক না খুঁজে একদম সঠিক জায়গায় পৌঁছে পরীক্ষা করতে সক্ষম হয় বিভিন্ন দেশের পাঠানো যন্ত্রযান।
এতে মঙ্গলের ঠিক কোনখানে জীবনের সন্ধান করা উচিত তার ঠিকানা দিয়ে দেবে এই এআই। এতে গবেষণার সময় যেমন বাঁচবে তেমনই তরান্বিত হবে মঙ্গলের মাটিতে জীবন খোঁজা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা