গোটা একটা দেশকেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চেয়েছিলেন এক দম্পতি, দিয়েছিলেন ঘুষও
একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন এক দম্পতি। এজন্য প্রচুর অর্থও খরচ করেন তাঁরা। এমনই অভিযোগ আদালতের সামনে এল।
প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর অনেক দ্বীপরাষ্ট্র রয়েছে। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ ও ফিলিপিন্সের মাঝে মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে রয়েছে এমনই রিপাবলিক অফ মার্শাল আইল্যান্ডস। এই সার্বভৌম রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে মুক্ত হয় ১৯৭৯ সালে।
এবার সেই রাষ্ট্রকে ফের পরাধীন করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন চিনের এক দম্পতি। মার্কিন আদালতে তাঁদের বিচার চলছে। সেখানে আইনজীবী দাবি করেছেন, ওই চিনা দম্পতি মার্শাল আইল্যান্ডসকে একটি আংশিক স্বায়ত্তশাসিত এলাকায় পরিণত করে ওই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব হরণের চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁরা ২০১৮ এবং ২০২০ সালে ওই রাষ্ট্রের সংসদে একটি বিল আনার ব্যবস্থা করেন। যে জন্য সেখানকার সাংসদদের ৭ হাজার মার্কিন ডলার থেকে ২২ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত ঘুষও দেন। তাতে কাজও হয়।
ওই বিলটি মার্শাল আইল্যান্ডসের পার্লামেন্ট অধিবেশনে পেশও হয়। তা নিয়ে আলোচনাও হয়। ভোটাভুটিও হয়। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ যাতে বিলটি পাশ হয়ে যায় সেজন্য প্রচুর অর্থ খরচ করেন ওই চিনা দম্পতি।
পরে তাঁদের থাইল্যান্ড থেকে পাকড়াও করে মার্কিন আদালতে তাঁদের বিচার হচ্ছে। এভাবে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা করার জন্য তাঁদের বিচার হচ্ছে।
এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে মার্কিন মুলুকে কেন বিচার পর্ব চলছে? ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা মিললেও এখনও মার্শাল আইল্যান্ডস প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর আমেরিকার একটি শক্তিশালী বেস। সেখানকার সুরক্ষা কেন্দ্রিক বিষয়টি এখনও আমেরিকাই দেখে।
তাই সেই সূত্রেই চিনা দম্পতির বিচার পর্ব চলছে নিউ ইয়র্কে। প্রসঙ্গত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেরে আধিপত্য তৈরি করতে মরিয়া চিন। যা রুখতে মরিয়া আমেরিকাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা