ঐতিহাসিকরা ফেল, রহস্যময় যন্ত্র চিনতে সাধারণ মানুষের দরবারে বিশেষজ্ঞেরা
ঐতিহাসিকরা চিনতে পারেননি। বিশেষজ্ঞেরা অনেক পর্যবেক্ষণ করেও বুঝে উঠতে পারছেন না এই মেশিনের কাজ কি। তাই এবার সাধারণ মানুষের দরবারে হাজির হল ঐতিহাসিকদের সোসাইটি।
এ যন্ত্রটি একটি হিস্টোরিক্যাল সোসাইটিকে দান করা হয়েছিল। সে অনেকদিন আগের কথা। ১৯৯০ সালে এই যন্ত্রটি ওই সোসাইটির মিউজিয়ামে এসে পৌঁছয়। তারপর থেকে সেটি সেখানেই রয়েছে।
ঐতিহাসিকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যন্ত্রটির একটি অংশ বাদ দিলে বাকি যন্ত্রপাতি ১০০ বছরের পুরনো। কিন্তু কিসের যন্ত্র এটি? সেটাই বড় প্রশ্ন। যার উত্তর ঐতিহাসিক থেকে বিশেষজ্ঞ, কারও কাছেই নেই।
তাই আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ডরচেস্টার কাউন্টি হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি সোশ্যাল মিডিয়ায় যন্ত্রটির ছবি পোস্ট করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে যদি কেউ ওই ছবির যন্ত্রটিকে চিনতে পারেন, যন্ত্রটির কাজ কি সে সম্বন্ধে কোনও আলোকপাত করতে পারেন।
যন্ত্রটি পরীক্ষার পর ঐতিহাসিকরা একাধিক ধারনা করেছেন। কারও মতে এটি একটি বিস্কুট তৈরির যন্ত্র। যা একটা সময় ওই অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় বিস্কুট ছিল।
আবার কারও মতে এটা আটা বা ময়দা মাখার মেশিন। আটা বা ময়দা মাখার সময় ভিতরে সামান্যও হাওয়ার বুদবুদ থেকে গেলে তা মুছে ফেলার কাজ করত এই মেশিন। ফলে তা মাখা হত খুব সুন্দরভাবে।
যদিও এগুলো মেশিনটি পরীক্ষার পর ধারনা মাত্র। এটা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না মেশিনটার আসল কাজটা কি! এমনকি অনেক বিশেষজ্ঞের আবার এই যন্ত্রটি দেখার পর মনে হয়েছে এটি দিয়ে চামড়ার জিনিস তৈরির কাজ করা হত। মেশিনটি ঠিক কি কাজে ব্যবহার হত তা কিন্তু পরিস্কার নয়।