৩২০ টাকায় কেনার পর গৃহস্থ জানলেন ফুলদানিটি অমূল্য এক সম্পদ
৩২০ টাকা ওটার দাম নয়। কত দাম তাও অজানা। কোথায় ওটার দাম ঠেকতে পারে তাও ধারনার বাইরে গৃহস্থের। বিক্রেতাও জানতেন না তিনি কোন জিনিস ৩২০ টাকায় বিক্রি করছেন।
বিক্রির সময় না গৃহস্থ জানতেন তিনি ফুলদানি হিসাবে যেটা কিনছেন সেটার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, উল্টোদিকে যিনি সেটা বিক্রি করেছেন তিনিও জানতেন না তিনি ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ৩২০ টাকায় যা বেচছেন তার দাম কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে।
এই ২ পক্ষের অজান্তে আদপে যেটা বিক্রি হয়ে গেল জলের চেয়েও সস্তায় তা হল মায়া সভ্যতার একটি ফুলদানি। যা মায়া সভ্যতার অধিবাসীরা আদৌ ফুলদানি হিসাবে ব্যবহার করতেন কিনা তা পরিস্কার নয়। তবে ফুলদানির মতই দেখতে। যার গায়ে কাজটা একদম অন্যরকম।
দোকানে গিয়ে সেটাই মহিলার চোখে লেগেছিল। একটু পুরনো চেহারার সেই ফুলদানিটি ৩.৯৯ ডলারে কিনে নেন তিনি। বাড়িতে সাজানোই ছিল পরিকল্পনা। তাঁর ধারনা হয়েছিল ওটা ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো হবে হয়তো।
তা তিনি যে দোকানে গিয়েছেন সেখানে তো পুরনো ব্যবহার করা জিনিসই বিক্রি হয়। সেখানে আর নতুন পাবেন কোথায়! তাই পুরনো দেখতে হলেও দামটা সাধ্যের মধ্যে মনে হওয়ায় মহিলা সেটা কিনে নেন।
মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা ওই মহিলা মাঝে মেক্সিকো যান। তখন সেখানে একটি মিউজিয়ামে ওই ফুলদানির মতই একটি ফুলদানি দেখতে পান। যা দেখে তাঁর কেনা ফুলদানিটির কথা মনে পড়ে যায়।
মহিলা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে দেশে ফিরে ওই মিউজিয়ামে তাঁর কেনা ফুলদানির ছবি পাঠান। যা দেখে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানায় ওটি বাস্তবে মায়া সভ্যতার একটি ফুলদানি। যার বয়স প্রায় ২ হাজার বছর। ওই গৃহস্থ এরপর ফুলদানিটি মেক্সিকো দূতাবাস মারফত মেক্সিকোর মিউজিয়ামকে দান করেন।