আপত্তি নীল-সাদায়। ওটা ঝাড়খণ্ডের রঙ নয়। তাই বন্ধ করে দেওয়া হল ম্যাসানজোরের সৌন্দর্যায়নের কাজ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ বীরভূমের সেচ দফতরের কর্তারা।
১৯৫৬ সালে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে ম্যাসানজোর বাঁধটি তৈরি হয়। সেই সময় থেকে এর যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর। তাই ভৌগলিক ভাবে ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত হলেও এর নিয়ন্ত্রণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে।
নিয়মিত সংস্কারের পাশাপাশি এবার বাঁধ এলাকা সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের সৌন্দর্যায়নে যেমন সাদা ও নীল রঙ ব্যবহার করা হয়, তেমন রঙ দিয়েই গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি শুরু হয় ম্যাসানজোরের সৌন্দর্যায়নের কাজ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয় এই বাবদ।
বিপত্তি বাধে গত সোমবার। রঙের কাজ বেশ খানিকটা হয়ে যাওয়ার পর কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ঝাড়খণ্ড সরকার। তারা স্পষ্ট করে জানায় যে নীল সাদা রং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের পছন্দের রঙ। বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে সেই রঙ চলবে না। তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ।