রং নয়, তোরণও নয়। একেবারে জমি অস্ত্রে শান। জমির ন্যায্য দামের দাবিকেই বাংলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রেরণা হিসাবে এগিয়ে আনছে ঝাড়খণ্ড বিজেপি। ম্যাসানজোর এলাকায় বাঁধ তৈরির জমি দেওয়া বাসিন্দাদের ৬৩ বছরের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দাবি তাদের।
ম্যাসানজোর বাঁধের কাছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বিক্ষোভ প্রাথমিক ভাবে বাঁধের রং এবং তোরণ নিয়ে হলেও তাদের আসল দাবি ১৪৪টি গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ। দুমকার বিজেপি সভাপতি নিবাস মণ্ডলের কথায় তৎকালীন বিহারে সেই সময় কংগ্রেসের সরকার ছিল। বাঁধ তৈরি করা বাংলারও সরকার ছিল কংগ্রেসের। ফলে বাঁধ তৈরি হয়ে গেলেও এলাকা থেকে উৎখাত হওয়া মানুষগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণের কথা রাখা হয়নি। তাঁদের কথায়, কেউ কেউ অল্প ক্ষতিপূরণ পেলেও অনেকেই সেটা পাননি। জমি থেকে উৎখাত হওয়া পরিবারগুলির অনেকেই পুনর্বাসনও পায়নি। কিন্তু এত বছর এই বিষয়ে আওয়াজ তোলা হয়নি কেন?
নিবাসবাবুর দাবি, এতদিন ম্যাসানজোরের দরিদ্র মানুষদের কথা প্রতিবেশি সরকারের কানে পৌঁছে দেওয়ার কেউ ছিল না। বর্তমানে দুমকার বিধায়ক লুইস মারান্ডি ওই এলাকা থেকে প্রথম রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। তিনিই উদ্যোগ নিয়েছেন মানুষের কথা বলার। একদিকে বাংলার সরকার সৌন্দর্যায়ন নিয়ে নিজেদের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে স্থানীয়দের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এবার ১৯৫৫ সালে তৈরি হওয়া চুক্তি প্রকাশ করার দাবি। ২ রাজ্যের লড়াইয়ের মাঝে ম্যাসানজোর দীর্ঘকালীন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা।