
উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মথুরায় ৩ পুলিশ আধিকারিক সহ মৃত্যু হল ২৪ জনের। মৃত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে মথুরার এসিপও রয়েছেন। আহত বহু। ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে দুই শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। চলছে পুলিশি টলহদারি। ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট মথুরার জহর বাগ থেকে দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় পুলিশকে। সবদিক বিবেচনা করে প্রথমে ঠিক হয়েছিল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে আগামী শনিবার থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলাই পুলিশ আচমকা সিদ্ধান্ত নেয় তখনই উচ্ছেদ অভিযানে নামবে তারা। পরিকল্পনা মত পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে গেলে রুখে দাঁড়ান জহর বাগের দখলদাররা। সংখ্যায় তারা প্রায় শ’তিনেক ছিলেন। অভিযোগ পুলিশ এগোনোর চেষ্টা করলে প্রথমে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পরে আচমকাই পুলিশকে লক্ষ করে শুরু হয় বোমা ছোঁড়া। ছুটে আসে হ্যান্ড গ্রেনেডও। গেরিলা আক্রমণের ধাঁচে পুলিশের বিভিন্ন দিক থেক লুকিয়ে আক্রমণ শুরু করে তারা। পুলিশের দাবি, আগে থেকেই দখলদারদের কাছে যথেষ্ট সংখ্যক অস্ত্র মজুত করা ছিল। বেগতিক বুঝে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে গুলি চালায় তারা। এদিকে পুলিশকে রুখতে আশপাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া শুরু করে দখলদাররা। পুলিশের দাবি, ঝুপড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় কোনও একটি ঝুপড়িতে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অবস্থা আরও ভয়ানক আকার নেয়। ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন পুলিশকর্মী। যারমধ্যে মথুরার এসপি মুকুল দ্বিবেদীও রয়েছেন। অবস্থা এতটা জটিল আকার নেওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কথা বলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ২৮০ একর এই জমি থেকে দখলদারদের চলে যাওয়ার জন্য গত দুবছর ধরেই বারবার নোটিস পাঠান হলেও তাতে কর্ণপাত করেন নি এখানকার বাসিন্দারা। এদিকে মথুরা যখন জ্বলছে, তখনই ট্যুইটারে নিজের শ্যুটিংয়ের সময়ের ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়ান মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। যদিও পরে সেই ছবি ট্যুইটার থেকে সরিয়ে নেন তিনি।