রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেই ফতোয়া জারি করলেন মথুরার পুরোহিতেরা
রাজনীতিবিদদের এবার কড়া ফতোয়ার মুখে ফেলে দিলেন মথুরার পুরোহিতেরা। রাজনীতিবিদদের আচরণে যে তাঁরা প্রবল অসন্তুষ্ট তা বুঝিয়ে দিলেন পুরোহিতেরা।
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর সাহস বড় একটা করেননা সাধারণ মানুষ। কোথা থেকে কখন সমস্যায় পড়তে হয়! পুরোহিতরাও ব্যতিক্রম নন।
রাজনীতিবিদদের ঘাঁটানোর চেষ্টা যে তাঁরাও করতে পারেন এমনটা নয়। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আর অনেক রাজনীতিবিদের মুখোশ খসে পড়লে যে পুরোহিতরাও এককাট্টা হয়ে এমন প্রতিবাদে শামিল হতে পারেন তা দেখিয়ে দিলেন মথুরার পুরোহিতেরা।
তাঁরা ব্যানার দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁরা রাজনীতিবিদদের শামিল হতে দেবেন না।
কার্যত রাজনীতিবিদদের যমুনার ঘাটে ঘোরাফেরাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তাঁরা। যমুনার ঘাটে ব্যানার টাঙিয়ে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের ক্ষোভ যখনই ভোট আসে রাজনীতিবিদরা যমুনায় এসে পুজো করেন, ভোটে জিতলে যমুনা সাফ করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বাস্তবে ভোট মিটলেই তাঁদের আর টিকি দেখা যায়না। ফের ভোট এলে একই কাণ্ড। বর্তমান বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও তাঁদের ক্ষোভ চরমে।
এদিকে যমুনার জল এতটাই দূষিত হয়ে উঠেছে যে সেখানে পুণ্যার্থীদের স্নান করাও ঝুঁকির হচ্ছে। আবার যমুনার ধারের অনেক বাসিন্দা ওই জলই ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ পুরোহিতদের দাবি প্রতিশ্রুতিই সার।
অখিল ভারতীয় তীর্থ পুরোহিত মহাসভা-র সর্বভারতীয় সভাপতি মহেশ পাঠক যমুনার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। পাঠকের মতে, যে দল দাবি করে তারা হিন্দুত্ব বোঝে তারাই যমুনা মাতার দূষণ সাফাই করছে না।
এদিকে এই ইস্যুতে বিজেপিকে কোণঠাসা করার সুযোগ ছাড়েনি কংগ্রেস। এ বিষয়ে সুর চড়িয়ে মথুরার জেলা কংগ্রেস যমুনার দূষিত জল ভর্তি একটি জার সোজা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা