মহিলাদের কাছে ডিভোর্স মানেই জমিয়ে পার্টি, কোথায় এমনটা হয়
ডিভোর্স কোনও নারীরই কাম্য নয় বলেই সকলের জানা। কিন্তু বিশ্বে এমনও এক জায়গা রয়েছে যেখানে মহিলারা ডিভোর্স হলে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন।
খাওয়াদাওয়া কি হবে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে আছে সাজগোজ। পার্টি বলে কথা! যাঁদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে তাঁরা আসবেন তাঁর সঙ্গে আনন্দ করতে। সেখানে সাজগোজ, খাওয়াদাওয়া সঠিক না হলে চলে!
অতিথি আপ্যায়নে যাতে ত্রুটি না থাকে সেজন্য তাঁর ব্যস্ততাও তুঙ্গে থাকে। মনজুড়ে আনন্দের আবহ। আর হবে নাই বা কেন! এমন আনন্দের মুহুর্ত তো জীবনের মাত্র কয়েকবারই আসার সুযোগ রয়েছে। সেই আনন্দ কি মাটি করা যায়!
মনে হতেই পারে বাড়িতে নিশ্চয়ই কোনও আনন্দের ঘটনা ঘটেছে। তাই এমন উৎসবের মেজাজ। উৎসব ঠিকই তবে তা ডিভোর্স হওয়াকে কেন্দ্র করে।
এ দেশে ডিভোর্স পেলে মহিলারা উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। অবাক হওয়ার মত হলেও বিশ্বের অন্য প্রায় সব দেশের মহিলাদের মত ডিভোর্সে তাঁরা ভেঙে পড়েন না। দুঃখ, কষ্ট পান না। চোখের জলও ফেলেন না। সংসার ভাঙার কষ্ট তাঁদের জীবনকে দুর্বিষহ করেনা। বরং ডিভোর্স পেলে এখানে মহিলারা আনন্দে মেতে ওঠেন।
আফ্রিকার একটি দেশ মৌরিতানিয়া। এই দেশে ডিভোর্স মানে আনন্দে ভেসে যাওয়া। এখানে অনেকেই ১০-১২টা বিয়ে করেন। অনেকে তার চেয়েও বেশি। ডিভোর্স হলে তাঁরা পার্টি করে অন্য মহিলাদের ডেকে সেই সুখবর জানান।
মৌরিতানিয়ায় এই ডিভোর্স ও আনন্দ উৎসব আজকের সংস্কৃতি নয়। বহু বছর ধরে এ দেশের মহিলারা ডিভোর্স হলে আনন্দ করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে ডিভোর্স মানে ফের একবার বিয়ে করার সুযোগ। সেটা তাঁদের আনন্দ দেয়। ডিভোর্স তাঁদের মুক্তিরও আনন্দ দান করে।