মাত্র ২১ বছর বয়স। এই বয়সে সকলের পড়াশোনাও শেষ হয়না। আর সেই বয়সেই কিনা বিচারকের আসনে বসতে চলেছেন মায়াঙ্ক প্রতাপ সিং। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিচারক হওয়ার মর্যাদা তিনি ইতিমধ্যেই পকেটস্থ করেছেন। কারও দয়ায় নয়। নিজের যোগ্যতায় বিচারক হচ্ছেন মায়াঙ্ক। রাজস্থান জুডিসিয়ারি সার্ভিসেস পরীক্ষায় বসেছিলেন মায়াঙ্ক। সেই পরীক্ষায় সফল হন তিনি। তার জেরেই তাঁর এখন বিচারকের আসনে বসা সময়ের অপেক্ষা। এর আগে অবশ্য ৫ বছর আইন নিয়ে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। সেই পড়া শেষ হতেই তিনি রাজস্থান জুডিসিয়ারি সার্ভিসেস পরীক্ষায় বসেন। আর সেই পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।
দিনে বেশিক্ষণ পড়াশোনার অভ্যাস মায়াঙ্কের নেই। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা প্রাত্যহিক পড়াশোনা। তাতেই কেল্লাফতে! মায়াঙ্ক জানাচ্ছেন তিনি কিন্তু নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি যেমন করে নিজেকে তৈরি করেছেন তাতে তিনি রাজস্থান জুডিসিয়ারি সার্ভিসেস পরীক্ষায় ঠিকই পাশ করে যাবেন। কিন্তু পরীক্ষায় প্রথম হবেন এই আশা তিনি করেননি। হালেই এই পরীক্ষায় বসার বয়স ২৩ থেকে কমিয়ে ২১ করেছে সরকার। তারপরই তিনি পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেন।
আধুনিক প্রজন্মের ছেলে। ফলে সোশ্যাল সাইট যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের ওপর আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মায়াঙ্ক এগুলো কেমন করে করতে হয় সেটাই জানেননা। মায়াঙ্ক জানিয়েছেন, তিনি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে নেই বলে বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টাও করেছেন। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তিনি সোশ্যাল সাইটের জগতে পা রাখেননি। ছোট থেকেই পড়াশোনা নিয়ে পরিশ্রম করেন মায়াঙ্ক। তাঁর বাবাই সেকথা জানিয়েছেন। স্কুল জীবনে কখনও ক্লাসে দ্বিতীয় হননি দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিচারক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা