মেডিক্যাল কলেজের বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল স্টকে থাকা প্রায় সব ওষুধ, তুলো, গজ, ব্যান্ডেজ, স্যালাইন বোতল সহ অন্যান্য সামগ্রি। আগুন বেলা ১১টার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কালো ধোঁয়া বার হয়েই চলেছে। তবে মেডিক্যাল স্টোর ও দোকানের বাইরে আগুন ছড়াতে পারেনি। দমকল কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ধোঁয়ায় কাবু পেতে। কিন্তু তাঁদের ধারণা প্রচুর তুলো, গজ জাতীয় জিনিস মজুত থাকায় আগুন ধিকিধিকি জ্বলেই চলেছে। গুমো আগুন থেকে ধোঁয়া বার হচ্ছে। চারপাশ ঠান্ডা করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
আগুনের গ্রাসে মেডিক্যাল কলেজের স্টকে থাকা বিশাল পরিমাণ ওষুধ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফলে ওষুধ সংকট একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালের স্টক প্রায় ওষুধ শূন্য। বিভিন্ন বিভাগের রোগীদের জন্য ওষুধ হাসপাতাল থেকে মিলছে না। এটা একটা বড় সমস্যা বলে মেনে নিচ্ছেন সকলেই।
আগুনের জেরে জরুরি বিভাগে রোগী দেখা বন্ধ রয়েছে। বহু রোগী মেডিক্যাল কলেজ চত্বর ও তার বাইরে রাস্তায় বসে আছেন। দ্রুত যাতে রোগীদের অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা যায় তার চেষ্টা চলছে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে সবচেয়ে কাছে এনআরএস হাসপাতাল। সেখানে বেশ কিছু রোগীকে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এদিকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে রোগীদের যেমন বার করে আনা হয়েছে, আগুন লাগার খবরে রোগীরাও আতঙ্কে বেরিয়ে আসেন। রোগীর আত্মীয় থেকে স্থানীয় মানুষও রোগীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে হাজির হন দমকলমন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরো অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। কথা বলেন দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে। অবস্থা ঘুরে দেখেন বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে পুলিশ এসে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। ধোঁয়ায় অনেক রোগীই তাঁদের কষ্ট হচ্ছিল বলে জানান। ফলে যে বিভাগে তিনি ভর্তি ছিলেন সেখান থেকে নেমে আসেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।