বুধবার সকাল ৮টায় লেগেছিল আগুন। আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগল ৪ ঘণ্টার ওপর। অবশেষে দেওয়াল ভেঙে জল দিয়ে, ছাদ দিয়ে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। এদিকে আগুন এদিন যতনা আতঙ্কের কারণ হয়েছে, তারচেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়েছে ধোঁয়া। বহু রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। এমনকি উদ্ধার করতে গিয়ে রোগীর পরিজন ও স্থানীয়রাও ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়েছেন।
আগুন লাগার পর হাজির হন দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, আগুন লাগার পর মূলত ৩টি বিভাগ ফাঁকা করা হয়। কার্ডিওলজি, হেমাটোলজি ও জেনারেল মেডিসিন। প্রায় ২৫০ জন রোগীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসা চালানো হয়। যেসব জীবনদায়ী ওষুধ পুড়ে গেছে সেগুলি দ্রুত হাসপাতালে ফের পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে কীভাবে আগুন লাগল সে সম্বন্ধে তিনি কিছু বলতে পারেননি। মন্ত্রী জানান, আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত হচ্ছে।
এদিন ঘটনাস্থলে হাজির হয় কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। এদিকে মেডিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। যেসব বিভাগে কোনও প্রভাব পড়েনি, সেসব বিভাগের রোগীর আত্মীয়রাও এদিন খবর পেয়ে মেডিক্যালে ছুটে আসেন।