খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে, কাল হল এঁড়ে গরু কিনে। বলিউড অভিনেত্রী মেঘনা নাইডুর দশা এখন অনেকটা সেই তাঁতির মত। চোর ভাড়াটেদের খপ্পরে পড়ে এখন অনেকটাই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন তিনি। খোয়া গেছে তাঁর বাড়ির দামি দামি আসবাবপত্র। জুতো, ব্যাগ, জামাকাপড়, স্পিকার কি নেই চুরির তালিকায়।
অভিযোগ, অভিনেত্রীর সাধ করে কেনা দামি দামি ছবি, মূর্তি অবধি বাড়ি ছেড়ে পালানোর আগে ভেঙে দিয়ে গেছে চোরেরা। তছনছ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাড়ির সাজসজ্জা। এমনকি বাড়ির তালা চাবি পর্যন্ত বদলে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে নিজের বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে মেঘনাকে। কোন দুঃখে যে তিনি বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়েছিলেন তা ভেবেই এখন আফসোস করতে হচ্ছে ‘কলিয়ো কা চমন’ ভিডিও খ্যাত অভিনেত্রীকে।
গোয়ার ক্যান্ডোলিম এলাকায় মেঘনা নাইডুর ১টি ফ্ল্যাট ফাঁকা পড়ে ছিল অনেকদিন ধরেই। বাড়ির দেখাশোনার জন্য অবশ্য একজন কেয়ারটেকার ছিলেন। তিনি অভিনেত্রীর সম্মতি নিয়ে গোয়ার ফাঁকা আবাসনে ভাড়াটে বসান। ভাড়ার টাকায় ঘরে লক্ষ্মী আসবে। আবার দীর্ঘদিন ফাঁকা পড়ে থেকে বাড়ি ভুতুড়ে চেহারাও নেবে না। এই ভেবে খোশ মেজাজেই ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ভাড়াটেরা যে এভাবে তাঁকে ধোঁকা দেবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি।
অভিনেত্রীর দাবি, সমস্ত নথিপত্র দেখেই এক দম্পতিকে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা নিউজিল্যান্ডে কাজ করেন বলে দাবি করেছিল। কর্মসূত্রে গোয়ায় কিছুকাল থাকবে বলেই অভিনেত্রীর বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল তারা। অভিযোগ, ভাড়াটেরা ভাড়া তো দেয়ইনি। উল্টে পালানোর আগে লুঠ করে নিয়ে গেছে অভিনেত্রীর বাড়িতে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র। এমনকি অভিনেত্রীর অন্তর্বাসগুলো পর্যন্ত চুরি করতে ছাড়েনি তারা।
তবে মেঘনা একা নন, চোর দম্পতির প্রতারণার শিকার হয়েছেন এলাকার আরও কয়েকজন। যাদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকারও। অভিযোগ, কেয়ারটেকারের ছেলেকে নিউজিল্যান্ডে চাকরি দেওয়া নাম করে তার থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছে ওই দম্পতি। এমনকি অন্য এক মহিলার থেকেও ৪০ হাজার টাকা নিয়ে একেবারে ফুড়ুৎ করে উবে গেছে তারা। অতঃপর ভাড়াটেদের ধরতে গোয়া পুলিশের দ্বারস্থ হন মেঘনা নাইডু ও প্রতারিতরা।
লুঠেরা দম্পতিকে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের সাহায্য চেয়েছেন অভিনেত্রী। চোর যুগলের ছবি সমেত তাদের কুকীর্তির কথা সকলকে খুলে জানিয়েছেন ফেসবুকে যাতে দ্রুত তাঁর অন্তর্বাস চোরেরা ধরা পড়ে পুলিশের জালে।