National

কাশ্মীরে অশান্তির জন্য পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুললেন মুফতি

কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি বদলাতে চান তিনি। কাশ্মীরের যুব সমাজকে প্ররোচিত করা হচ্ছে। সীমান্তপার থেকে পাকিস্তান এসব করছে। ‌যারা পাথর ছুঁড়ছে তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তাদের দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে এসব হচ্ছে। বসে কথা বলেই কাশ্মীর সমস্যা মেটানো সম্ভব। এভাবে রাজ্যকে অশান্ত করে নয়। শনিবার কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই জানালেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত কাশ্মীর। অবস্থা সামলাতে জারি হয় কার্ফু। মোতায়েন হয় সেনা। তারমধ্যেই বারবার সুরক্ষাকর্মীদের লক্ষ করে পাথর বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। উপত্যকায় ওড়ে পাকিস্তানের পতাকা। অবস্থা সামাল দিতে পাল্টা জবাব দিতে হয় সুরক্ষাকর্মীদেরও। যার জেরে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এখনও উপত্যকা থমথমে। কার্ফু শনিবার ৫০ দিনে পা দিল। কিন্তু এখনও সমাধান অধরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অবস্থা সামলানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজে বার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে অশান্তির জেরে উপত্যকার অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দিনের পর দিন বন্ধ দোকানপাট। খাবার দাবারে টান পড়তে শুরু করেছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। রুটিরুজিও লাটে উঠেছে। এই অবস্থায় কার্ফুতে ঢিলে দিয়ে অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হলেও তাতে ফল হচ্ছে উল্টো। ফের বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে পাথরবৃষ্টি শুরু করছে। এদিকে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে সরাসরি মদত দেওয়া শুরু করেছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেমে পড়েছেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দিতে। বুরহান ওয়ানির মত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কমান্ডারের মৃত্যুকে শহিদের মৃত্যু আখ্যা দিয়ে কাশ্মীর জুড়ে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে আখ্যা দিচ্ছে পাকিস্তান। যাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাক সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছে।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button