অপহরণ করে শক দেওয়া হয়, জড়িত পুলিশও, দাবি মেহুল চোকসির
ফের মেহুল চোকসি কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার মুখ খুললেন মেহুল চোকসি। একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল।
অ্যান্টিগুয়ায় গত ২৩ মে রাতে তাঁকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন তাঁর বন্ধু বারবারা জাবারিকা। সেখানে তিনি পৌঁছনোর কয়েক মিনিট পরই তিনি দেখেন ঘরের মধ্যেই তাঁকে বেশ কয়েকজন ঘিরে ফেলেছেন। এঁদের অনেকের চেহারা সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মত শক্তপোক্ত ছিল।
তাঁরা তাঁকে চেপে ধরেন। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে তাঁকে টেজার গান দিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। তাঁকে মারধরও করা হয়। তারপর তাঁর হাত পা বেঁধে একটি হুইল চেয়ারে বসিয়ে দেন ওই ৮-১০ জন।
ওখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর মুখ ঢেকে দিয়ে হুইল চেয়ারে বসা অবস্থাতেই তোলা হয় একটি নৌকায়।
এমনই এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ভারত থেকে পালিয়ে অ্যান্টিগুয়ায় আশ্রয় নেওয়া ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি।
মেহুলের আরও দাবি, যাঁরা তাঁকে অপহরণ করেন তাঁদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়। এই ঘটনায় অ্যান্টিগুয়ার পুলিশও যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছেন পলাতক এই ব্যবসায়ী।
মেহুল চোকসির দাবি তারপর ওই নৌকায় করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডমিনিকায়। সেখানে তাঁকে কয়েকদিন যেভাবে রাখা হয় তা নিদারুণ। তাঁর সঙ্গে অত্যাচার করা হয়। ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত গত ২৩ মে অ্যান্টিগুয়া থেকে বেপাত্তা হয়ে যান চোকসি। ২৬ মে তাঁকে ডমিনিকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৬ মে মেহুল চোকসি গ্রেফতার হন ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকায়। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম মেহুল চোকসি কিউবা পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে সামনে আসে। তখনই নৌকায় পালানোর সময় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সেই তত্ত্বে পরে আবার অন্য সংযোজন হয়। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের রেডিওকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান মেহুল একটি ভুল করেন। তিনি সম্ভবত তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে একটি রোমান্টিক ট্যুরে গিয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী আরও জানান এখন মেহুলকে হয়তো ভারতে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এমনকি নৌকায় পালানোর সময় নয়, এমনও শোনা যাচ্ছে যে বান্ধবীর সঙ্গে ডিনার করার সময় মেহুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মেহুল আবার যে দাবি করেছেন তা এই ঘটনায় নাটকীয় মোড় এনে দিয়েছে। যদিও মেহুল যা বলেছেন তা তাঁর দাবি মাত্র। এর কিছুই এখনও প্রমাণিত হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা