হাত ফস্কাল মেহুল চোকসি, খালি হাতে ফিরছে ভারতীয় দল
ফের হাত ফস্কে গেলেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। ভারতের ৮ সদস্যের লড়াই সত্ত্বেও আপাতত মেহুলকে ছাড়াই ফিরতে হচ্ছে।
কাতার থেকে ব্যক্তিগত বিমান নিয়ে ডমিনিকায় পৌঁছে গিয়েছিল ভারতের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। যে দলে সিবিআই, ইডি এবং এমইএ প্রতিনিধিরা ছিলেন। সঙ্গে ছিল অনেক কাগজপত্র। যা মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যাবর্তনের জন্য ডমিনিকার আদালতে পেশ করেন তাঁরা।
২০১৮ থেকে অনেক চেষ্টা করেছে ভারত। যাতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম মেহুল চোকসিকে দেশে ফেরানো যায়। কিন্তু হয়ে ওঠেনি।
অ্যান্টিগুয়ায় বহাল তবিয়তেই ছিলেন মেহুল। হালে মেহুল গ্রেফতার হন ডমিনিকায়। তারপরই ভারতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়।
সময় নষ্ট না করে ভারতের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল ব্যক্তিগত বিমানে পৌঁছয় ডমিনিকা। আশা হয়তো ছিল ওই বিমানেই ফেরার সময় তাঁদের সঙ্গে থাকবেন মেহুল চোকসি। কিন্তু সে আশাও পূর্ণ হল না। ফের একবার ভারতের হাত ফস্কালেন মেহুল।
ডমিনিকার আদালত মেহুল চোকসির মামলার শুনানি স্থগিত করেছে। শুনানি ফের হবে ১৪ জুন। এরপরই জানা যাচ্ছে গত বৃহস্পতিবারই ডমিনিকায় গত ২৯ মে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা জেট বিমানটিতে ভারতের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল খালি হাতেই রওনা দেন দেশের উদ্দেশে।
মেহুল চোকসি রয়ে গেলেন ডমিনিকাতেই। আগামী দিনে কী হবে জানা নেই, তবে জেট বিমান নিয়ে গিয়েও এবারের মত ফেরানো হল না মেহুল চোকসিকে।
ঠিক সেভাবেই, যেভাবে দিনের পর দিন ঋণখেলাপিতে যুক্ত মেহুলের ভাগ্নে নীরব মোদী ইংল্যান্ডে বসে আছেন। কিন্তু তাঁকে দেশে ফেরাতে ব্যর্থ হচ্ছে ভারত।
গত ২৬ মে মেহুল চোকসি গ্রেফতার হন ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকায়। প্রথমে জানা যায় কিউবা পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। তখনই নৌকায় পালানোর সময় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে সেই তত্ত্বে কিছুটা হলেও অন্য সংযোজন হয়। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের রেডিওকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান মেহুল একটি ভুল করেন। তিনি সম্ভবত তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে একটি রোমান্টিক ট্যুরে গিয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নৌকায় পালানোর সময় নয়, বান্ধবীর সঙ্গে ডিনার করার সময় মেহুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহুল দাবি করেন, তিনি তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে রাতের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলে সেখানে ৮-১০ জন তাঁকে অপহরণ করেন। তারপর জোর করে একটি নৌকায় তুলে নিয়ে ডমিনিকায় আসেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে ভারতীয়রাও ছিলেন বলে দাবি করে মেহুল হৈচৈ ফেলে দেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা