সমালোচকরা বলতে শুরু করেছেন এটা কিছুই নয়, একটা পাবলিসিটি স্টান্ট। কিন্তু সেই স্টান্টের আগে থেকেই হাউসফুল তামিলনাড়ুর সুপারস্টার বিজয় অভিনীত মার্শাল। দিওয়ালি ধামাকা হিসাবেই এই সিনেমাকে নিচ্ছে সিনেমাপ্রেমী দক্ষিণ ভারত। কিন্তু হলে চুটিয়ে চললেও ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছে মার্শাল। বিজেপির রক্তচক্ষু তাড়া করছে সিনেমার নায়ক বিজয়কে। দুটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে।
চিকিৎসকেরা বেজায় চটেছেন এই সিনেমা নিয়ে। এক অভিনব প্রতিবাদও শুরু করেছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের দাবি, এই সিনেমায় বিজয় তাঁর ডায়লগে মানুষকে সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বলছেন। কারণ সরকারি হাসপাতালে কোনও চিকিৎসা পাওয়া যায় না। অন্য জায়গায় বলছেন চিকিৎসকেরা শুধু টাকা কামানোর জন্য এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন। এতেই চটেছেন চিকিৎসকেরা। এর প্রতিবাদে তাঁরা এই সিনেমা বয়কট করার জন্য চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা এই ‘মারকাটারি’ সিনেমার পাইরেটেড কপির লিঙ্কও দেদার শেয়ার করছেন। যাতে মানুষ পয়সা খরচ করে সিনেমা হলে না গিয়ে এভাবেই সিনেমাটি দেখে ফেলতে পারেন। তাতে সিনেমাটি অন্যভাবে মার খাবে।
এত গেল চিকিৎসকদের প্রতিবাদ। তামিলনাড়ু বিজেপিও প্রবল ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে এই সিনেমা নিয়ে। সরাসরি সিনেমার হিরোকেই কড়া কথা শোনাচ্ছে তারা। বিজেপির দাবি, সিনেমায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছায় আসা নয়া করকাঠামো জিএসটি ও স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করা হয়েছে। তাদের দাবি, অবিলম্বে সিনেমার ওই অংশ ছেঁটে হলে ফের রিলিজ করতে হবে। তা না হলে বড় আন্দোলনের পথেও যেতে পারে বিজেপি।
তবে সিনেমা সমালোচকরা বলছেন এই দুই বিতর্কে লাভ হয়েছে সিনেমাটির। এমনিতেই হাউসফুল ছিল। এবার সেই হাউসফুলের বোর্ড আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াল বিতর্ক।