৯ হাজার বছর আগেও মানুষ মাথায় বালিশ দিয়ে শুত, তবে বালিশগুলো ছিল অন্যরকম
মাথায় বালিশ দিয়ে শোওয়ার চল তথাকথিত আধুনিক পৃথিবীর নয়। এ অভ্যাস প্রাচীনকালেও বজায় ছিল। যার নিদর্শনও পাওয়া গিয়েছে। ৯ হাজার বছর আগেও ছিল বালিশ।
নরম মোলায়েম বালিশে মাথা দিলে ঘুম যেন আপনা থেকেই শরীরকে জড়িয়ে ধরে। আধুনিক পৃথিবীতে মাথার বালিশ এক অন্যতম বিলাসী উপকরণ। মাথার হোক বা পায়ের বালিশ সুখকর হওয়াটা আবশ্যিক।
বালিশের ইতিহাস কিন্তু নেহাত কম দিনের নয়। এখন থেকে ৯ হাজার বছর আগেও দিব্যি বালিশের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। তাও আবার ভারত থেকে খুব দূরে নয়।
ইতিহাস বলছে মেসোপটেমিয়াতে প্রথম বালিশের ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়। মেসোপটেমিয়া অর্থাৎ অধুনা ইরাকে এই বালিশ কিন্তু নরম মোলায়েম ছিলনা। বরং ছিল কঠিন। কারণ তখন বালিশ হত পাথরের।
পাথরের খণ্ডের একটা দিক ঢালু করা থাকত। তা খুব মসৃণও হত। সেটাই বালিশ হিসাবে মাথায় দিতে শুরু করেন মেসোপটেমিয়ার মানুষ। এটাই বালিশের ব্যবহারের শুরু বলে মনে করা হয়।
মেসোপটেমিয়া বলেই নয়, প্রাচীন মিশরেও বালিশের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও ৭ হাজার বছর আগে থেকে বালিশের প্রচলন শুরু হয়। মেসোপটেমিয়া হয়ে তা মিশরেও বহুল প্রচলিত হয়।
মাথায় বালিশ না দিয়ে মিশরীয়রা বড় একটা ঘুমোতে যেতেন না। তার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। তবে সে মেসোপটেমিয়া হোক বা মিশর, কেন যে সে সময়ে মানুষ আরামে ঘুমানোর জন্য পাথরের শক্ত বালিশ ব্যবহার করতেন তা এখনও পরিস্কার নয়। আধুনিক জীবনে শক্ত পাথরের মাথার বালিশ যে একেবারেই কেউ গ্রহণ করবেননা তা কিন্তু পরিস্কার।