একটা দুর্গন্ধ বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় ছড়াচ্ছিল। ক্রমশ তা আরও তীব্র হতে থাকে। প্রথম দিকে পশুপাখি মরে গন্ধ বের হচ্ছে বলে মনে হলেও পরে স্থানীয় বাসিন্দারা যখন প্রায় টিকতে পারছিলেননা, তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ সেখানে হাজির হয়। শুরু হয় দুর্গন্ধের উৎস অনুসন্ধান। আর তা করতে গিয়ে পুলিশ পৌঁছে যায় একটি কুয়োর ধারে। সেখান থেকেই দুর্গন্ধটা ছড়াচ্ছে বলে নিশ্চিত হন সকলে। তারপর কুয়োর মধ্যে খোঁজ চালাতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বেশ কয়েকটা অতিকায় প্যাকেট পড়ে আছে। সেসব প্যাকেট থেকেই গন্ধ ছড়াচ্ছে।
প্যাকেট খুলতেই আঁতকে ওঠেন সকলে। প্যাকেটের মধ্যে ঠেসে ভর্তি করা রয়েছে মানুষের দেহাংশ। মুণ্ড, দেহাংশ আলাদা করা। সেগুলো কোনটা কার তাই বোঝা দায় হচ্ছে পুলিশের। ফলে হাজির হয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা। এলাকা জুড়ে হুলস্থূল পড়ে গেছে। এমন ভয়ংকর হত্যালীলা কার কাজ তা পরিস্কার নয়। তবে নৃশংসভাবে ৪৪ জন মানুষকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। আরও বিশেষজ্ঞ এনে পুরো একটি দেহ নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর গুয়াদালাজারা শহরের বাইরে একটি গ্রামের মধ্যে। এই এলাকায় ড্রাগ গ্যাংয়ের দাপট রয়েছে। এদের প্রবল প্রতিপত্তি। ভয়ংকর নৃশংস এদের কার্যকলাপ। ঘটনাটি সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকের হলেও সামনে এসেছে সবে। মৃতদের পরিচয় পুলিশ জানতে পেরেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। কারা এই কাণ্ড ঘটাল তার খোঁজ চলছে। চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মেক্সিকোতে এমন গণহত্যার ঘটনা ঘটল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা