কুমিরকে সকলের সামনে চুমু খেয়ে বিয়ে
কুমিরকে চুমুতে ভরিয়ে দিলেন তিনি। কুমির তখন রাজকন্যার সাজে সজ্জিতা। সকলকে সাক্ষী রেখে কুমিরকে বিয়ে করলেন স্থানীয় নেতা। যিনি শহরের প্রশাসনিক প্রধানও বটে।
বেশ কয়েকজন হাতে করে তুলে নিয়ে এলেন ৭ বছরের কুমিরটিকে। কুমিরটিকে সাজানো হয়েছিল রাজকন্যার সাজে। বিয়ের কনে বলে কথা! তাই তাকে এদিন আর চার পায়ে হাঁটতে দেওয়া হয়নি। একদম কোলে তুলে বিয়ের আসরে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে বরও তৈরি। কনের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। কনে আসতে শুরু হয় বিয়ের আচার অনুষ্ঠান। প্রথা মেনে বর কনে কুমিরের ঠোঁটে চুমু খান। তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
আনন্দে তখন সমবেত সকলেই নাচছেন, গান করছেন। বাজনা বাজছে। দারুণ এক উৎসবের মেজাজ। কনে খুশি না অখুশি বোঝা না গেলেও বর যে খুব খুশি তা তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।
মেক্সিকোর দক্ষিণ প্রান্তে বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে এখনও সেখানকার আদি রীতিনীতি কঠোরভাবে পালিত হয়। সেখানকার নতুন প্রজন্মও আদি রীতিতে বিশ্বাসী। তারা কোনও নিয়ম বদলের বা ভাঙার চেষ্টা করেনা। বরং তা কঠোরভাবে ধরে রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।
এমনই একটি জায়গায় ওয়াহাকা। এখানে প্রাচীন রীতি হল শহরের যিনি মেয়র হবেন অর্থাৎ শহরের যিনি নেতা তিনি এক কুমিরকে বিয়ে করবেন। সেখানকার মানুষ যাতে প্রচুর খাবার পান, নদীতে প্রচুর মাছ থাকে সে কামনা করেই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ওয়াহাকার মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা-র সঙ্গে ৭ বছর বয়সী ওই কুমিরের বিয়ে হয়ে গেছে ধুমধাম করে। ওয়াহাকার মানুষ এখনও তাঁদের প্রাচীন ভাষাতেই কথা বলেন। শহরের আনাচেকানাচেও প্রাচীনত্বের ছোঁয়া।
সোসা যে কুমিরকে বিয়ে করলেন সেই কুমিরের মুখ অবশ্য দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। চুমু খেতে গিয়ে যাতে নতুন বরকে তার বেমক্কা কামড় না খেতে হয় সেজন্য সেটুকু সুরক্ষা ব্যবস্থা পাকা করা ছিল।