কফিনের কাচের ওপর বাষ্পের ভাপ, বেঁচে উঠল ৩ বছরের শিশু
তাকে কাচের কফিনে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। অন্ত্যেষ্টির আগে সকলেই শেষবারের জন্য দেখে যাচ্ছিল তার নিথর দেহটা। কিন্তু তখনই নজরে পড়ল কাচের ওপর বাষ্পের ভাপ।
প্রবল পেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রথমে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান অভিভাবকরা। চিকিৎসক প্যারাসিটামল ও ফলের রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে ব্যথা কমেনি। বরং শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাই দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান উদ্বিগ্ন বাবা মা।
সেখানে তার চিকিৎসা শুরু হলেও কিছু সময় পর চিকিৎসকেরা জানান শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়। তার পেটে এক ধরনের পোকা হয়েছে। যা তার প্রাণ কেড়ে নিল।
অভিভাবকরা অগত্যা শোকার্ত হৃদয়ে ৩ বছরের সন্তানকে কোলে করে বাড়ি ফেরেন। শুরু হয় তার দেহের শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত। শিশুটিকে একটি কাচের কফিনে রাখা হয়। পরদিন সমাধিস্থ করার আগে শেষবারের জন্য শিশুটিকে দেখতে হাজির হন অনেকে।
সেই সময় একজনের নজরে পড়ে কাচের ওপর বাষ্পের ভাপ। কাচের বদ্ধ কফিনে বাষ্পের ভাপ আসবে কোথা থেকে? গরম হাওয়া এল কোথা থেকে?
তারপরই শিশুটির চোখ সামান্য নড়ে ওঠে। বোঝা যায় সে নিঃশ্বাস নেওয়ায় কাচের ওপর ভাপটা দেখা গিয়েছিল। দ্রুত তাকে কফিন থেকে বার করে ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন ভুল করে প্রাণ থাকা সত্ত্বেও শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। ফের তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু ১ ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।
এবার অবশ্য সবদিক থেকে নিশ্চিত করা হয় যে শিশুটির সত্যিই দেহে আর প্রাণ নেই। ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর ভিলা দে রামোস শহরে। যেখানে এই ঘটনায় চিকিৎসকদের চরম গাফিলতি সামনে এসেছে।